সবেমাত্র স্বামী মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরে এসেছেন। শঙ্কা নিয়ে অপেক্ষমাণ স্ত্রীর মধ্যেও ফিরে এসেছে সস্তির নিঃশ্বাস। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। আশপাশের মানুষের মধ্যেও বেদনার বিষাদ। না! এটা কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়।
এফআর টাওয়ার থেকে উদ্ধার হওয়া আরিফ নামে এক ব্যক্তির গল্প। তিনি এফ আর টাওয়ারের তের তলার ডার্ড গ্রুপের ম্যানেজার অডিট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। উদ্ধার হ্ওয়ার পর আগুনের মধ্যে আটকে থাকার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আগুন লাগার সময় আমাদের অফিসে ৭-৮ জন ছিলাম। আমরা পাঁচবার সিঁড়ি দিয়ে নামার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ধোঁয়া আর আগুনের তাপের কারণে নামা যাচ্ছিল না। চারদিকে অন্ধকার ছিল। আমরা আবার দৌড়ে অফিসের ভেতরে ঢুকে যাই।
আরিফ বলেন, বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। অফিসের গামছা আর তোয়ালে ভিজিয়ে মুখের ওপর ধরে রেখেছি সবাই। আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো বাঁচতাম না।
তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে গ্লাস ভেঙে হাতের ইশারা করতে থাকলে ফায়ার সার্ভিসের ক্রেন জানালার কাছে যায়। তারপর ক্রেন দিয়ে প্রথমে আমি আর ইকবাল নেমে আসি। অন্যরা পরে নামতে পেরেছে কিনা তা বলতে পারছি না।