মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফিরছিলেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক রজত চক্রবর্তী। পৌর শহরের সবুজবাগ এলাকায় আসতেই হঠাৎ এক শিশু ও নারীর কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে তার কানে। কাছে গিয়ে দেখলেন ৮-৯ মাস বয়সি একটি শিশু কান্নারত অবস্থায় ক্ষুধার যন্ত্রণায় আঙ্গুল চুষছে।
একই সঙ্গে সন্তানকে খাবার দিতে না পারায় কান্না করছেন শিশুটির মা। এ দৃশ্য দেখে তিনি তড়িঘরি করে পাশেই থাকা দোকান থেকে কিছু খাবার কিনে দেন ওই নারীকে। উনার দেখাদেখি আশপাশের লোকজনও কিছু খাবার কিনে দেন ওই নারীকে। তবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।
রজত চক্রবর্তী জানান, কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওই নারী কথা বলতে পারছেন না। তবে দেখে মনে হয়েছে বয়স আনুমানিক ২০ বছর হবে এবং শিশুটির (ছেলে) বয়স ৮ থেকে ৯ মাস হবে।
তিনি বলেন, মা ও শিশুটির কান্না হৃদয়ে বড় দাগ কেটেছে। খাবারগুলো দেয়ার পর কিছুটা শান্তি পেয়েছি। তাদের কান্নাও থেমে গেছে। এ কান্না যে ক্ষুধার জন্য ছিল সেটি ওই নারীর খাওয়া দেখেই বুঝেছি। ভাবতে অবাক লাগে এখনও কিছু কিছু মানুষ খাবার পায় না।
এ নিয়ে কথা হয় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহেদা আক্তারের সঙ্গে। তিনি জানান, বিষয়টি আমরা দেখি না। সমাজ সেবা অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সোয়েব হোসেন চৌধুরী জানান, তার (ওই নারীর) সব কাগজপত্র পেলে আমরা প্রতিবন্ধী ভাতা দিতে পারব।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ