টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে স্টাইল করে চুল কাটাসহ দাঁড়ি ও গোঁফ মডেলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে অভিযুক্ত শীল সদস্যকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করারও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ছাত্র ও উঠতি বয়সের যুবকসহ সবার স্টাইল করে চুল কাটাসহ দাঁড়ি ও গোঁফ মডেলিং এবং রঙ না করার বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি শীল সদস্যদের ডেকে নিয়ে সতর্ক করে দেন। পরে উপজেলা শীল সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি নোটিশের মাধ্যমে সকল সদস্যদের এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
উপজেলা শীল সমিতির উপদেষ্টা অখিল চন্দ্র শীল বলেন, ওসি সাহেবের নির্দেশনায় আমরা স্টাইল করে চুল, দাঁড়ি ও গোঁফ কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। কয়েকদিন আগেও ছাত্র ও যুবকরা স্টাইল করে চুল কাটাতো, এখন তারা স্বাভাবিকভাবেই চুল কাটাচ্ছে।
ভূঞাপুর উপজেলা শীল সমিতির সভাপতি শেখর চন্দ্র শীল বলেন, থানার ওসি মহোদয় আমাদেরকে ডেকে নিয়ে ছাত্র ও উঠতি বয়সের যুবকসহ সকলের স্টাইল করে চুল কাটা, দাঁড়ি ও গোঁফ মডেলিং এবং রঙ না করার বিষয়ে আমাদের সতর্ক করে দেন।
এছাড়াও হেয়ার স্টাইলের কোনো ক্যাটালক দোকানে না রাখতেও বলেন তিনি। পরে তার নির্দেশনায় আমরা উপজেলা শীল সমিতির আওতায় সকল সদস্যকে নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভূঞাপুর থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, হেয়ার স্টাইলে চুল কাটার বিষয়ে প্রায় সময়ই ছাত্র ও যুবকদের অভিভাবকরা আমার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করতেন।
ছাত্র ও যুবকরা হেয়ার স্টাইলে চুল কেটে বখাটেদের মতো ঘুরে ফেরে। এতে করে তারা সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তাদের দেখতেও অনেকটা বেমানান লাগে। পরে অভিভাবক, শিক্ষক ও উপজেলা শীল সমিতির সভাপতিসহ সমিতির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। হেয়ার স্টাইলে কেউ চুল কাটাসহ দাঁড়ি ও গোঁফ মডেলিং এবং রঙ করলে জরিমানাসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগে জেলার সখীপুর থানার ওসি আমীর হোসেনও উপজেলা শীল সমিতি সদস্যদের এই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
সৌজন্যে- যুগান্তর