শাহজালালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করে তল্লাশিতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হওয়ার কারণে যথাসময়ে উড্ডয়ন করতে পারছে না বেশিরভাগ ফ্লাইট। চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাইচেষ্টা ঘটনার পর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দনের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে তল্লাশি ও তল্লাশি ধরন। যাত্রীদের সঙ্গে নেয়া ব্যাগ এবং দেহ তল্লাশি করা হচ্ছে দীর্ঘসময় ধরে। এ সময় বিমানবন্দরের প্রবেশপথ ধরে বিশাল লাইন এখন প্রতিনিয়ত চিত্র।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। নিরাপত্তার কারণে বাড়তি তল্লাশিতে বেশি সময় ব্যায় হচ্ছে। যে কারণে আন্তর্জাতিক গন্তব্যের কোনো ফ্লাইটই যথাসময়ে ছেড়ে যেতে পারছে না। তল্লাশি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চেকিং কাউন্টার না বাড়ানোর কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। প্রবেশদ্বারে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বললেও তাদের কথায় কর্ণপাত করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
শুক্রবার বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৩৫ জেদ্দাগামী ফ্লাইটের যাত্রী মিজানুর রহমান জানান, শতশত লোকের লম্বা লাইন। অস্বাভাবিক চিত্র। বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের গেটেই সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টা। ভেতরে এন্টি-হাইজ্যাকিং পয়েন্টে একই পরিস্থিতি। ফলে পাঁচটার ফ্লাইট উড্ডয়ন করেছে সাড়ে ছয়টায়। একই অভিযোগ করেছেন আরও কয়েক যাত্রী।
এ পরিস্থিতির মোকাবেলার বিশেষ কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও শাহজালালের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং খুব শিগগিরই এই সমস্যা সমাধানের উপায় বের করব।
তিনি বলেন, বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনার পর থেকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক উভয় ফ্লাইটে যাত্রীদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশের সকল বিমানবন্দরে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বেবিচক।
সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের পিস্তল থাকা ব্যাগসহ নিরাপত্তা তল্লাশি পেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা, মামুন নামে এক যাত্রীর অস্ত্র নিয়ে বিমানে অরোহণ এবং সর্বোপরি চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনার পর থেকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক উভয় ফ্লাইটে যাত্রীদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বাড়ানোর পর থেকে বেড়েছে যাত্রী ভোগান্তি।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ