অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) রাজ্যের আসন্ন রাজ্য সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন সবরিন ফারুকি। এর মধ্যে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য নির্বাচনের উচ্চকক্ষে অংশ নেয়া প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কৃতিত্ব অর্জন করে চলেছেন সবরিন।
২৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় রাজ্য সংসদ নির্বাচনে দেশটির বর্তমান বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে থাকছে তার নাম। সংসদের উচ্চকক্ষের আসনের জন্য নির্বাচনে লড়বেন তিনি। এর আগে রাজ্যের বর্ষসেরা নারীর সম্মাননা পান সাবরিন ফারুকি।
বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী ও বেড়ে ওঠা সাবরিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে যান। তিনি ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইউনিভার্সিটি অব সিডনি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
সিডনি ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে ‘সেরা গবেষণা শিক্ষার্থী পুরস্কার’ অর্জন করেন তিনি। গবেষণা কাজ অংশ হিসেবে তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন বিষয় এবং সমাধান তুলে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ার সরকারি সেবায় যোগ দেয়ার আগে সাবরিন সিডনি ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষাবিদ হিসেবে কাজ করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিক অ্যান্ড ফেয়ার ওয়ার্ক কমিশনে কাজ করেন। শ্রমিক কর্মী হিসেবে তিনি শরণার্থীদের জন্য একটি স্পষ্ট নীতিমালার পক্ষে পরামর্শ দেন।
অস্ট্রেলিয়ার মূলধারার রাজনীতিতে পদার্পণ করা প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে সাবরিন বলেন, ‘বাংলাদেশি হিসেবে গর্ববোধ করছি। সমাজের কল্যাণের পাশাপাশি এবার অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্যও কিছু করার চেষ্টা থাকবে। সবার শুভ কামনা আশা করছি।’
সাবরিন ফারুকি দেশটির ফেয়ার ওয়ার্ক কমিশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণ সংস্থা ও বাঙালি কমিউনিটি সংগঠনের সঙ্গেও কাজ করে যাচ্ছেন।
একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় শরণার্থী ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে ‘শক্তি অস্ট্রেলিয়া’ এবং বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য অলাভজনক সংগঠন ‘সিতারাস স্টোরি’-এর সঙ্গেও কাজ করছেন সাবরিন ফারুকি।
সৌজন্যে- যুগান্তর