বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গণফোরাম থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু।
তিনি জানান, “গণফোরামের নীতিবিরোধী, আদর্শবিরোধী, জনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সুলতান মনসুরের গণফোরামের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করা হলো এবং গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হলো। একই সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য পদ থেকেও তাঁকে বহিষ্কার করা হলো।”
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “নির্বাচনের আগে আমরা জাতির কাছে যে ওয়াদা করেছি তা রাখতে পারিনি। এজন্য আমরা জাতির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।”
মন্টু বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুলতান মনসুর গতবছর নভেম্বর মাসের ১০ তারিখে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ পেয়েছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। দল ও জোটের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নিলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে- গণফোরামের এমন হুঁশিয়ারির পরেও শপথ গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, “সব কথার উত্তর আমি দেব না। কারণ, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি হিসেবে সেসব সিদ্ধান্তের সময় আমিও ছিলাম। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাকে জানিয়েই আমি এটা করেছি। তারা তাদের সিদ্ধান্ত নেবে, আমি আমার ভূমিকা পালন করব। অপেক্ষায় থাকুন।”
এদিকে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বিপরীতে গিয়ে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদের সংসদে শপথ নেয়া রাজনৈতিক ছলনা ও অঙ্গীকার ভঙ্গ।”
সুলতান মাহমুদের শপথ নেয়ার পর এক প্রতিক্রিয়া রিজভী আরও বলেন, “দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নিলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, সে কথা গণফোরাম আগেই জানিয়েছে। আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই যে, রাজনীতিতে ছলনা ও অঙ্গীকার ভঙ্গের জন্য এরা মানুষের কাছে গণশত্রুতে পরিণত হবে।”
গত ৩০ ডিসেম্বর ওই নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ছয়টি আসনে জয় পায় বিএনপি। আর গণফোরামের দুটি মিলিয়ে ঐক্যফ্রন্ট পায় মোট আটটি আসন। নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলে তারা। নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবে না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে।