দেশের আকাশে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রজব মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এর ফলে আগামী শনিবার (৯ মার্চ) থেকে ১৪৪০ হিজরির রজব মাস গণনা শুরু হবে। সেই হিসেবে আগামী ৩ এপ্রিল (২৬ রজব, বুধবার) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে।
রাজধানীর বায়তুল মুকাররম মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে সবে মেরাজের দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ দিন ঐচ্ছিক ছুটি থাকে।
সভায় প্রতিমন্ত্রী জানান, সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪০ হিজরির রজব মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এ জন্য শুক্রবার (৮ মার্চ) জামাদিউস সানি মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। শনিবার (৯ মার্চ) থেকে রজব মাস গণনা শুরু হবে এবং আগামী ৩ এপ্রিল পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে।
ফারসি ‘শব’ এর অর্থ- রাত্র বা অন্ধকার এবং আরবি ‘মেরাজ’ এর অর্থ- ঊর্ধ্বারোহণ। মুসলমানদের ধর্ম অনুযায়ী, ২৬ রজব দিবাগত রাতে ঊর্ধ্বাকাশে ভ্রমণ করে মহানবী হয়রত মোহাম্মদ (স.) আল্লাহ তা’য়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন। শবে মেরাজ মুসলমানদের কাছে বিশেষ মর্যাদার। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে এ মূল্যবান রাত কাটান।অনেকে নফল রোজাও রাখেন।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, ৬২০ খ্রিস্টাব্দের রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত পবিত্র এই রাতে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) ‘বোরাক’ নামের বাহনে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। আরশে আজিমে আল্লাহর দিদার (সাক্ষাৎ) লাভ করেন। সেখান থেকে তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উপহার নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। মেরাজকালে মহানবী (সা.) সৃষ্টিজগতের সবকিছুর রহস্য স্বচক্ষে দেখেন। তবে কোনো কোনো ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, মহানবীর (স.) মেরাজ দৈহিক নয়, বরং ছিল আত্মিক আরোহণ।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ