Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

newealand-bangladesh

কেনে উইলিয়ামসনের ডাবল সেঞ্চুরির জন্যই অপেক্ষায় ছিল নিউজিল্যান্ড। অবশেষে ডাবল সেঞ্চুরিটা হয়ে যেতেই ইনিংস ঘোষণা করে দিলো স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের করা ২৩৪ রানের জবাবে কিউরা গিয়ে থামলো ৬ উইকেটে ৭১৫ রানের চূড়ায় উঠে। প্রথম ইনিংসেই বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়লো ৪৮১ রানের বিশাল ব্যবধানে।

chardike-ad

যে উইকেট বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য হয়ে উঠেছিল মৃত্যু ফাঁদ, সে উইকেটেই যেন স্বর্গ রচনা করলো নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। তিন অংকের ঘর পেরিয়েছেন তিন জন। এর মধ্যে একজন আবার ডাবল সেঞ্চুরি। উইলিয়ামসনের অপরাজিত ২০০ রানের সঙ্গে টম ল্যাথাম করেন ১৬১ এবং জিত রাভাল করেন ১৩২ রান।

দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলেই বোঝা গিয়েছিল, বড় রানের পথে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। অধিনায়ক কেনে উইলিয়ামসন ছিলেন সেঞ্চুরির ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে। সঙ্গে ছিলেন নেইল ওয়াগনার। আজ সকাল সকাল ৯৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিয়ারের ২০তম সেঞ্চুরিটা তুলে নিতে মোটেও কষ্ট হয়নি কিউই অধিনায়কের।

১৪৩ বল খেলে ২০তম সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছান উইলিয়ামসন। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করলেন তিনি। এর আগে ২০১৫ সালে ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৪২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

সেঞ্চুরি করা আগের দু’জন, জিত রাভাল এবং টম ল্যাথাম আগেরদিনই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। আজ সকাল থেকে নেইল ওয়াগনার, বিজে ওয়াটলিং এবং কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে সঙ্গে নিয়েই বাংলাদেশের বোলারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন উইলিয়ামসন।

৪৭ রান করে দিনে টাইগারদের প্রথম শিকার ছিলেন নেইল ওয়াগনার। তাকে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন পেসার এবাদত হোসেন। অভিষিক্ত এই বোলারের এটাই প্রথম উইকেট। নেইল ওয়াগনারকে দিয়েই উইকেটের খাতা খুললেন এবাদত।

এরপর বিজে ওয়াটলিং মাঠে নামেন। করেন ৬৭ বলে ৩১ রান। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ওয়াটলিং। তিনি যখন আউট হন তখন নিউজিল্যান্ডের রান ৬০৫। এরপর উইলিয়ামসন আর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম মিলে গড়েন আরও ১১০ রানের জুটি। এর মধ্যে গ্র্যান্ডহোমই করেন ৭৬ রান। টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট করা গ্র্যান্ডহোমের ইনিংসটি ছিল মাত্র ৫৩ বলের। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনি ছক্কা মারেন ৫টি।

সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন ইবাদত হোসেন এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১১ ওভারে ৫৬। তামিম ৩৫ এবং সাদমান ব্যাট করছেন ২১ রান নিয়ে।