দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ক্ষুদে রাষ্ট্র ব্রুনাইয়ে এক বাংলাদেশি প্রবাসীকে মারধর ও তার বাসায় ডাকাতির অভিযোগে ৩০ বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হয়েছেন অপর পাঁচ বাংলাদেশি। ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ওই পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে রয়্যাল ব্রুনাই পুলিশ ফোর্স (আরবিপিএফ)।
আরবিপিএফ বলছে, ব্রুনাইয়ের ফৌজদারি দণ্ডবিধির ২৭ অনুচ্ছেদের ৩৯৫ ধারা অনুযায়ী ডাকাতি ও মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার ওই পাঁচ বাংলাদেশিকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত শাস্তি হিসেবে কমপক্ষে ১২টি বেত্রাঘাতের সাজাও পেতে হবে অপরাধীদের।
ব্রুনাইয়ের তুতং জেলা পুলিশের কর্মকর্তা হেন্দ্রি বিন হাজি আমিন বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলার কামপং তানজং মায়া এলাকার সিমপ্যাংয়ে একটি ডাকাত দল হানা দিয়েছে টেলিফোনে খবর পান তারা। ওইদিন স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩৮ মিনিটে এই খবর আসে। টেলিফোনে পুলিশকে জানানো হয়, সিমপ্যাংয়ে এক বাংলাদেশিকে মারধরের পর তার বাসার বেশ কিছু আসবাবপত্র লুট করছে ডাকাতরা।
ওই বাংলাদেশিকে মারধরের পর তার বাসা থেকে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার, একটি রাইস কুকার, একটি গ্যাস স্টোভ, একটি ফ্যান, একটি মোবাইল ফোন ও ৩৭ হাজার ২৭৭ টাকা নিয়ে যায় ডাকাত দল।
পরে অভিযান চালিয়ে ডাকাতি ও মারধরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে তুতং জেলা পুলিশ। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের কর্মকর্তা হেন্দ্রি বিন হাজি আমিন বলেন, গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশিরা হলেন, শাহেব আলী (২৯), মোহাম্মদ বশির আহম্মদ (২৪), মারুফ আহমেদ চৌধুরী (৩২), মোহাম্মদ হাসান মন্ডল (২৩) ও সোহাগ মিয়া (৩১)। গত ১৬, ১৭ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি পৃথক অভিযানে গ্রেফতার হন এই পাঁচ বাংলাদেশি।
সূত্র: বোর্নিও বুলেটিন।