বাংলাদেশ বিমানের দুবাইগামী একটি উড়োজাহাজ চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে। উড়োজাহাজের সব যাত্রী নিরাপদে অবতরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, উড়োজাহাজের সব যাত্রী নিরাপদে অবতরণ করেছেন।
এটা ছিনতাই কিনা- এ প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, ‘এখনও বিষয়টি নিশ্চিত নই। এসবি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) এ বিষয়ে এখনও আমাকে কোনো তথ্য দেয়নি।’
প্রসঙ্গত, ময়ূরপঙ্খী বিমানটি রোববার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। বিজি-১৪৭ নং ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল।
অসমর্থিত সূত্রের খবর, দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের ওই ফ্লাইটটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়। বিমানের এক যাত্রী পিস্তল হাতে পাইলটের ককপিটে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় পাইলট ও কেবিন ক্রুরা ফ্লাইটটি জরুরিভাবে শাহ্ আমানতে অবতরণ করান।
দুবাইগামী ফ্লাইট ময়ূরপঙ্খীতে যাত্রী হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম ৮ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদল। তিনি বলেন, ভেতরে একজন হাইজ্যাকার আছে। তিনি বাঙালি। বিমান থেকে সব যাত্রীকে নামানো হয়েছে। এখন হাইজ্যাকারকে নামানোর চেষ্টা চলছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিমানটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘিরে রেখেছে। অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। সব যাত্রী নিরাপদে আছেন। তবে সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মিরাজ জানান, যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে। এর বাইরে আর কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
ফায়ার সার্ভিস সদরদফতর কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন বলেন, জরুরি অবতরণের সংবাদ পেয়ে ৬টা ২৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি গাড়ি উড়োজাহাজের চারপাশে অবস্থান নিয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, উড়োজাহাজের জিম্মিদশার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে শুনেছি। যিনি জিম্মি করেছেন তিনি উড়োজাহাজের ভেতরেই রয়েছেন। পুলিশ উড়োজাহাজটি ঘিরে রেখেছে।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ