রাজধানীর চকবাজার এলাকায় আগুনে পুড়ে ছাই হলেন ঢাবি শিক্ষার্থী হাফেজ মো. কাওসার আহমেদ। তার ওই এলাকায় একটি ফার্মেসির দোকান ছিল। ভর্তি পরীক্ষায় ‘ডি’ ইউনিটে ১৭তম মেধায় ভর্তি হন কাওসার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তার বন্ধু সূর্যসেন হলের ছাত্র শরীফুল আলম বলেন, আমাদের মধ্যে কাওসার ছিল খুবই মেধাবী ও পরিশ্রমী। নিজের খরচ নিজেই বহন করত। সে জন্য ফার্মেসির দোকান দিয়েছিল। কাওসার মাদ্রাসায় পড়ত, কোরআনে হাফেজ ছিল। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।
তিনি বলেন, সে মাঝেমধ্যে সূর্যসেন হলেও এসে থাকত। আবার বাসায়ও থাকত। ওষুধের দোকানটাও সেই চালাত। কাওসার বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। আবদুল্লাহ নামে একটি ছেলে এবং নুসাইবা নামে একটি মেয়ে আছে তার।
শরীফুল আলম আরও বলেন, কাওসারের ইচ্ছা ছিল বড় ব্যাংকার হবে, পরিবারের হাল ধরবে। ওর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। ওর মতো মেধাবীদের এমন করে পুড়ে মারা যাওয়া রাষ্ট্রের চরমতম ব্যর্থতা।
বুধবার রাতে চকবাজারে প্রথম যে চারতলা ভবনে আগুন লাগে, তার উল্টোদিকের ভবনে কাওসারের আল মদিনা মেডিকেল ও ডেন্টালে আগুন ছড়িয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৬৭ জনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। সেখানে গিয়ে সকালে লাশ শনাক্ত করেন কাওসারের দুই ভাই, মা ও স্ত্রী।
কাওসারের ভাই ইলিয়াস জানান, তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা থানায়। তারা সপরিবারে পুরান ঢাকায় থাকতেন।
সৌজন্যে- যুগান্তর