রিয়া ও রিফাত। দুই বছর আগে বিয়ে হয় তাদের। থাকতেন পুরান ঢাকার চকবাজারের নন্দ কুমার দত্ত রোডের ‘ওয়াহিদ ম্যানশন’ ভবনের তৃতীয় তলায়। বুধবার রাতে যখন ওই ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে তখন নামতে পারেননি অন্তঃসত্ত্বা রিয়া। এমতাবস্থায় স্ত্রীকে ফেলে জীবন বাঁচাতে পালাতে চাননি রিফাত। তাই নামেননি তিনি। ফলে আগুনে গর্ভের সন্তানসহ দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গের সামনে রিয়া ও রিফাতের মরদেহ শনাক্ত করতে না পেরে অপেক্ষারত বন্ধুরা গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
রিয়া ও রিফাতের বন্ধু সাজিদ জানান, রিয়া ও রিফাত দুই বছর আগে বিয়ে করেন। আমার এই দুই বন্ধুর কোনো খোঁজ-খবর পাচ্ছি না। চেহারা দেখে মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। রিয়া অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
সাজিদ জানান, আগুন লাগার পর রিফাতের পরিবারের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। কিন্তু রিয়াকে নিয়ে নামতে পারছিল না বলেই সে নিজেও নামেনি। ফলে দু’জনই পুড়ে মারা গেছে। রিয়া ও রিফাতের মৃত্যুর খবরে ওদের পরিবারের কয়েকজন ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই তারাও ঘটনাস্থলে আসতে পারছেন না বলে জানান তিনি। সাজিদ বলেন, তাদের পরিবার থেকে কেউ আসতে না পারায় আমরাই ছবি-তথ্য নিয়ে এসেছি। তবে এখন পর্যন্ত মরদেহ শনাক্ত করতে পারিনি।
ঢামেকের মর্গ থেকে সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৪১ জনকে শনাক্ত করা গেছে। এদের মধ্যে অনেকের মুখ পোড়েনি বলেই শনাক্ত করা গেছে। আর যাদের চেনা যাচ্ছে না তাদের শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষাই একমাত্র উপায় বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া রেডক্রসের প্রতিনিধিরাও মরদেহ শনাক্তকরণে তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ