Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অনলাইন প্রতিবেদক, সিউল, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪:

সিউল সাবওয়েতে যাত্রীদের ভ্রমণ সংখ্যা ৪ হাজার কোটি অতিক্রম করতে চলেছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার এ মাইলফলক অতিক্রান্ত হওয়ার আশা করা হচ্ছে। অংকটা পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যার ৫.৬ গুণ। ১৯৭৪ সালে যাত্রা শুরু করা (লাইন নং ১-৪) সিউল মেট্রো দেশের প্রথম সাবওয়ে সিস্টেম হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করতে যাচ্ছে।

chardike-ad

metro-seoul3কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে নগরীর ১ কোটি নাগরিক গত ৩৯ বছরে গড়ে প্রতি তিন থেকে চারদিনে একবার সাবওয়ে ব্যবহার করেছে। সংস্থাটি আরও জানায় গত বছরের শেষ নাগাদ সাবওয়ের যাত্রীসংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯শ ৭০ কোটি এবং এ বছরের জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারীতে ৩৮ লক্ষ ৪০ হাজার যাত্রী গড়ে প্রতিদিন এই সেবা গ্রহণ করেছে।

যেখানে ১৯৭৪ সালে সাবওয়ের দৈনিক যাত্রীসংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৩০ হাজার সেখানে বর্তমানে কেবল খাংনাম স্টেশনেই দৈনিক যাত্রী ওঠানামা করে ১ লক্ষ ৪০ হাজার বার। চার দশককালে ৯টি স্টেশন বেড়ে ১২০-এ উন্নীত হয়েছে। অতিক্রান্ত দৈনিক দূরত্বও ৩ হাজার কিমি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫৮ হাজার কিমি হয়েছে। এ দূরত্ব অতিক্রম করে গোটা পৃথিবীটাকেই দেড় বার চক্কর দেয়া সম্ভব! আর সিউল-বুসান আসা যাওয়া করা যাবে ৬৮ বার!
৩৯ বছরের ইতিহাসে সিউল মেট্রোর কিছু বিরল রেকর্ডও রয়েছে। চালকদের জাগিয়ে রাখতে ১৯৯৬ সাল থেকে কোম্পানিটি চুইংগাম প্রদান শুরু করে এবং বুধবার নাগাদ সরবরাহকৃত চুইংগাম প্যাকেটের সংখ্যা ২০ লাখ হবে। হিসেবটা আরেকটু পরিষ্কার করে বললে এ সময়ে সাবওয়ের একজন চালক প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ প্যাকেট চুইংগাম চিবিয়েছেন!

এছাড়া সাবওয়ে লাইন ৫ থেকে ৮-এ চলা সিউল মেট্রোপলিটন র‍্যাপিড ট্রানজিট ১৯৯৫ সালে চালু হওয়ার পর থেকে মোট ভ্রমণ হয়েছে ১ হাজার ২শ’ ৯২ কোটি বার। আর ২০০৯ সালের জুলাইয়ে খুলে দেয়া সিউল মেট্রোর ৯ নং সাবওয়ে লাইনে এ যাবত ভ্রমণ হয়েছে ৫০ কোটি বার। সবমিলিয়ে সিউলের নয়টি সাবওয়ে লাইনে যাত্রীদের সর্বমোট ভ্রমণ সংখ্যা ৫ হাজার ৩শ’ ৪০ কোটি।