আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণ হয় স্যামসাংয়ের হ্যান্ডসেটে। আর সবচেয়ে বেশি বিকিরণ হয় শাওমি’র ফোনে। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিসটার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি স্ট্যাটিসটা এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর আগে, আন্তর্জাতিক বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বসের প্রতিবেদন থেকেও একই ধরনের তথ্য পাওয়া গিয়েছিল।
তিবেদনে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনে ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণের পরিমাপ থেকে দেখা যায়, স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি সিরিজের স্মার্টফোনে গড় বিকিরণের পরিমাণ প্রতি কিলোগ্রামে শূন্য দশমিক ২৪ ওয়াট। তালিকায় সবচেয়ে কম বিকিরণ করা স্মার্টফোন স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি নোট সিরিজের। এ সিরিজের স্মার্টফোন থেকে বিকিরণের পরিমাণ শূন্য দশমিক ১৭ ওয়াট।
স্যামসাংয়ের পাশাপাশি মটোরলা, এলজি এবং জেডটিই ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন সবচেয়ে কম ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণের তালিকায় আছে। এসব ফোনের গড় বিকিরণের পরিমাণ শূন্য দশমিক ২৮ ওয়াট।
তালিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণের তালিকায় আছে চীনা ব্র্যান্ড শাওমি। এই ব্র্যান্ডের ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণের গড় পরিমাণ ১.৭৫ ওয়াট (এক দশমিক ৭৫ ওয়াট)। এ ছাড়া ওয়ান প্লাস, সনি এক্সপেরিয়া এবং এইচটিসি স্মার্টফোনের বিকিরণের গড় পরিমাণ এক দশমিক ৪৫ ওয়াট। অ্যাপলের আইফোনের গড় ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণের পরিমাণ এক দশমিক ৩২ ওয়াট।
এর আগে ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে স্মার্টফোনের গড় ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণের পরিমাণ ১ দশমিক ৬৪ ওয়াট। নোকিয়া লুমিয়ার এক দশমিক ১৫ ওয়াট। চীনা ব্র্যান্ডের মধ্যে ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণের পরিমাণ সবচেয়ে কম অপো স্মার্টফোনের। এই ফোনের গড় ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৭৪ ওয়াট। ফরবেসের প্রতিবেদন অনুযায়ীও স্যামসাংয়ের ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরণের পরিমাণ সবচেয়ে কম, শূন্য দশমিক ২৫ ওয়াট।