যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের রাজধানীতে একটি স্টেডিয়ামে কয়েক শত মানুষ। না, কোনো খেলা দেখতে নয়। ভয়াবহ এক ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে তারা উপস্থিত হয়েছেন। তাদের সামনে হাজির করা হলো দুই যুবককে। তাদের হাত পিছন দিকে বাঁধা। নীল শার্ট ও ট্রাউজার পরা তারা। মাটিতে বিছানা বিছানার চাদরের মতো একটা কিছুর ওপর তাদেরকে উপর করে শুইয়ে দেয়া হলো। পাশে দাঁড়ানো অস্ত্রহাতে আরো কয়েকজন যুবক।
তারা ওই দুই যুবকের পিঠ বরাবর উঠে এলেন। অস্ত্র তাক করলেন ওই দুই যুবকের পিঠে। গর্জে উঠল অস্ত্র। রক্তে ভেসে গেল মাটি। মারা গেল ওই দুই যুবক। হ্যাঁ, প্রকাশ্যে এভাবেই ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয়েছে দুই যুবক ওয়াদাহ রেফাত (২৮) ও মোহাম্মদ খালেদ (৩১)কে।
অভিযোগ, তারা মোহাম্মদ স্বাদ নামে ১২ বছর বয়সী একটি বালক বলাৎকার শেষে হত্যা করেছে। এ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়। গত বছর মে মাসে তারা ওই বালকটির সঙ্গে অনৈতিক কাজ করে।
ঘটনার সময় ওই বালকটি রেফাত ও খালেদের একজনের বাড়ির কাছেই খেলছিল। তখন তাকে তাদের একজন একটি ভবনের ভিতর নিয়ে যায় টেনে হিঁচড়ে। সেখানে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে স্বাদ সাহায্যের জন্য কান্না শুরু করে। এ সময় ওই দুই যুবকের একজন একটি ছুরি নিয়ে যায় এবং স্বাদের গলা কেটে ফেলে।
নিহত স্বাদের মৃতদেহ লুকিয়ে ফেলায় সাহায্য করার জন্য অভিযুক্তদের এক আত্মীয়া (৩৩)কেও মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তার মৃত্যুদন্ড স্থগিত করা হয়েছে।