নিউজিল্যান্ড সফরটা হাতভরে যেমন সাফল্য দিচ্ছে, ঠিক সমানতালে যেন লজ্জাতেও ফেলছে ভারতকে। দিন কয়েক আগে এই কিউইদের বিপক্ষে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হার দেখে ভারত। এবার টি-টোয়েন্টি ফরমেটেও বড় লজ্জাটা পেয়ে গেল বিরাট কোহলিবিহীন দলটি।
ওয়েলিংটনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তাদের ৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এটিই এই ফরমেটে রানের হিসেবে ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হার।
২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্রিজটাউনে ৪৯ রানে হেরেছিল ভারত। রানের হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেটিই এতদিন ধরে ছিল তাদের সবচেয়ে বড় হারের রেকর্ড। সে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার করা ১৮৪ রানের জবাবে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল থামে ১৩৫ রানে।
এবার নিউজিল্যান্ডের ২১৯ রানের পাহাড়সমান সংগ্রহের জবাবে ৪ বল বাকি থাকতেই ১৩৯ রানে গুটিয়ে গেছে ভারতের ইনিংস।
এক মহেন্দ্র সিং ধোনি ছাড়া বলার মতো কিছু করতে পারেননি তাদের কোনো ব্যাটসম্যান। ৩১ বলে ৩৯ রান করেন ধোনি। আর শেষদিকে ১৮ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।
অথচ অধিনায়ক রোহিত শর্মা (১) ব্যর্থ হলেও তার সঙ্গী শেখর ধাওয়ান আর ওয়ান ডাউনে নামা বিজয় শঙ্করের ব্যাটে একটা সময় ওতটা খারাপ অবস্থায় ছিল না ভারত।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভার হতে তখনও ৩ বল বাকি। ২ উইকেটেই ৫১ রান তুলে ফেলেছিল ভারত। ১৮ বলে ২ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ২৯ রান করে ধাওয়ান ফেরার পরই যেন মরক লেগে যায়। রিশাভ পান্ত করেন মাত্র ৪ রান। এরপর ১৮ বলে ২টি করে চার ছক্কায় ২৭ রান করা বিজয় শঙ্করও সাজঘরের পথ ধরেন।
যা একটু আশা বাকি ছিল। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দিনেশ কার্তিক (৪) আর হার্দিক পান্ডিয়া (৫) ইশ সোধির এক ওভারেই আউট হয়ে গেলে সেটাও ফুরিয়েছে ভারতের। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে মাত্র ১৭ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি। ২টি করে উইকেট নেন লুকি ফার্গুসন, ইস সোধি আর মিচেল স্যান্টনার।
এর আগে ওপেনার টিম শেফার্টের ৪৩ বলে ৮৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে ২১৯ রানের বড় পুঁজি পেয়ে গিয়েছিল কিউরা। শেফার্টের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার আর ৬টি ছক্কার মার। এরপর কলিন মুনরো (২০ বলে ৩৪) আর কেন উইলিয়ামসনের (২২ বলে ৩৪) ব্যাটে শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায় স্বাগতিকরা। রস টেলর ১৪ বলে ২৩ আর শেষদিকে মাত্র ৭ বলে ২০ রান করেন স্কট কাগেলিজন।