ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৯ বছর বয়সী অপর এক তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভুক্তভোগী নারীকে কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ অর্থাৎ ‘সেক্স টয়’র মাধ্যমে ধর্ষণ করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ট্যুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইন্ডিয়া ট্যুডের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রেফতার ওই তরুণীর বিরুদ্ধে ভারতীয় ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনে মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষণের শিকার ওই নারী। তিনি তার বক্তব্যে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তরুণী কোমরে বেল্ট বেঁধে তাতে কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ লাগিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
এমন ঘটনার পর ২৫ বছর বয়সী ওই নারী থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ প্রথমে মামলা নেয়নি। পুলিশের কাছ থেকে আইনি সহায়তা না পেয়ে তিনি জেলা আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। গ্রেফতারের পর পুলিশ ঘটনার তদন্তে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ব্যবসায়িক অংশীদার করার লোভ দেখিয়ে অভিযুক্ত তরুণী ওই নারীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। তার ব্যবসায়ের আরও দুই অংশীদার রোহিত ও রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করান। তাদের সাহায্যে ও উপস্থিতিতে বেশ কয়েক বার ধর্ষণ করা হয় ওই নারীকে।
ধর্ষণের পর ওই নারীর পরিবারকে ২০ হাজার টাকাও পাঠায় ওই তরুণী। পূর্ব ভারতের বাসিন্দা ওই নারী মূলত কাজের খোঁজেই দিল্লি এসেছিলেন। ফলে তার পরিবার সেই টাকা সন্দেহ ছাড়াই গ্রহণ করেছিল। গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত ওই নারী এখন তিহারের একটা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।