maদেশীয় ও বিদেশি শ্রমিকদের অধিকতর আইনি সুরক্ষার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মালয়েশিয়ার কয়েক দশকের পুরনো শ্রম আইনের সংস্কার আনার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির সরকার। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান শ্রম আইন সংস্কারে সরকারের নেয়া পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বলে দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এম কুলাসেগারান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মাদ নেতৃত্বাধীন সরকার দেশীয় ও বিদেশি শ্রমিকদের আরো আইনি সুরক্ষা প্রদানের জন্য কয়েক দশকের পুরনো শ্রম আইন পরিবর্তনের প্রস্তাব করবে।
দেশটির সম্প্রসারণশীল পাম তেল, নির্মাণ ও উৎপাদন খাতে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের অদক্ষ শ্রমিকদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসব খাতে বিদেশি শ্রমিকরা উচ্চ পারিশ্রমিক পান; কিন্তু দেশীয় শ্রমিকদের কাজের সুযোগ কম।
অসাধু নিয়োগকারী, পুলিশ এবং অসম আইনি ব্যবস্থার কারণে দেশটিতে এসব খাতে কাজ পেতে দেশি এবং বিদেশি শ্রমিকদের নানা ধরনের ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়। দ্য সানডে টাইমসকে এম কুলাসেগারান বলেন, আমরা দেশি শ্রমিকদের পাশাপাশি বিদেশি শ্রমিকদেরও মর্যাদা এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই।
মালয়েশিয়ায় ১৯৫০ সালের প্রায় ৯টি শিল্প খাতের পুরনো আইন চালু রয়েছে। এসব আইনে শ্রমিক ইউনিয়নকে নিয়ন্ত্রণ এবং ভেঙে দেয়ার একক ক্ষমতা রয়েছে সরকারের হাতে। তিনি বলেন, আইনে সংস্কার আনার জন্য শ্রমিক সংগঠন মালয়েশিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-সহ (আইএলও) বিভিন্ন শ্রম সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করছে সরকার।
দেশটির সরকার বলছে, মানবপাচারের আশঙ্কায় বেসরকারি নিয়োগকারী সংস্থা নিষিদ্ধ ও বিদেশি শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
এম কুলাসেগারান বলেন, মালয়েশিয়ায় অদক্ষ শ্রমিকদের শক্তিশালী সরবরাহ প্রয়োজন। গণমাধ্যমে বিদেশি শ্রমিকদের জন্য বিপজ্জনক জায়গা হিসেবে তুলে ধরে মালয়েশিয়ার যে সুনাম নষ্ট করা হয়েছে; সেজন্যই এটা দরকার।
গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় বেকারত্বের হার ছিল ৩ দশমিক ৪। সম্প্রতি দেশটির কৃষিখাতের এক জরিপে বলা হয়, পাম তেলের খাত-সহ দেশটির মোট শ্রমশক্তির ৮০ শতাংশই বিদেশি।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ