দৃষ্টিনন্দন গ্যালাক্সি এম২০ ও এম১০ ভারতের বাজারে উন্মোচন করলো স্যামসাং। বাংলাদেশের বাজারে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এম সিরিজের নতুন এই হ্যান্ডসেটগুলো পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে স্যামসাং বাংলাদেশ।
বর্তমান যুগের অগণিত ক্রেতা তাদের স্মার্টফোনটি সর্বোচ্চ গতিতে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহারের পাশাপাশি ডিভাইসটি যেনো উদ্ভাবনী ফিচারসমৃদ্ধ হয় এমনটাই আশা করে। এরই সূত্র ধরে, গ্যালাক্সি এম সিরিজের স্মার্টফোনে উন্নতমানের ইনফিনিটি-ভি ডিসপ্লে, উন্নত্মানের ফিচার যেমন- আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্সসমৃদ্ধ ডুয়েল ক্যামেরা, লং-লাস্টিং ব্যাটারি, অধিক কর্মদক্ষ প্রসেসর এবং নতুন স্যামসাং এক্সপিরিয়েন্স ৯.৫ ইউএক্সের সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে।
এম সিরিজের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে এর ডুয়েল ক্যামেরা, কারণ এখন চলার পথেই ছবি তোলা ও ভিডিও ক্যাপচার করার বিষয়টি সবার জন্য অতি সাধারন একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্যালাক্সি এম২০ ও এম১০, দু’টি ফোনেই রয়েছে আল্ট্র-ওয়াইড ফিচারসমৃদ্ধ ডুয়েল রিয়ার ক্যামেরা। এছাড়া দু’টি ডিভাইসেই আছে উন্নতমানের লো-অ্যাপারচার লেন্স যা দিয়ে ব্যবহারকারীরা কম আলোতেও ঝকঝকে ও স্বচ্ছ ছবি তুলতে পারবেন। ডুয়েল রিয়ার ক্যামেরায় উপযুক্ত লাইভ ফোকাস পোর্ট্রটে ছবি তোলার সুবিধাও রয়েছে।
নন-স্টপ মিউজিক ও ভিডিও ষ্ট্রিমিং-এর জন্যে গ্যালাক্সি এম২০-তে আছে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। মাল্টি-লেয়ারড প্রযুক্তি নিশ্চিৎ করবে ডিভাইসটির পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ফিচার, যা অপেক্ষাকৃত কম ব্যাটারি শক্তি খরচ করে। গ্যালাক্সি এম২০-এ ব্যবহার করা হয়েছে নতুন এক্সিনস ৭৯০৪ অক্টা-কোর প্রসেসর, যা দুর্দান্ত নেটওয়ার্ক গতি, বাধাহীণ মাল্টিটাস্কিং এবং কম ব্যাটারি শক্তি খরচ নিশ্চিৎ করে। অন্যদিকে, গ্যালাক্সি এম১০-এ ব্যবহার করা হয়েছে এক্সিনস ৭৮৭০ অক্টা-কোর প্রসেসর।
এ প্রসঙ্গে স্যামসাং বাংলাদেশে হেড অব মোবাইল মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, “নতুন ডিভাইস দু’টির প্রতিটি ক্ষেত্রে ক্ষমতাসম্পন্ন ফিচারের সমন্বয় ঘটনো হয়েছে। গ্যালাক্সি এম সিরিজের মাধ্যমে সম্মানিত ক্রেতাদের জীবন মান উন্নয়নে উদ্ভাবনী ফিচারসমৃদ্ধ ডিভাইস বাজার নিয়ে আসাই ছিলো স্যামসাং-এর মূল লক্ষ্য।”
গ্যালাক্সি এম২০-তে আছে ৬.৩ ইি র ট্রু এফএইচডি+ ইনফিনিটি-ভি ডিসপ্লে এবং গ্যালাক্সি এম১০-এ দেয়া হয়েছে ৬.২ ইি র এইচডি+ ইনফিনিটি-ভি ডিসপ্লে যা চমৎকার ডিসপ্লের ব্যবহার নিশ্চিৎ করবে। গ্যালাক্সি এম২০ ও এম১০ হচ্ছে ওয়াইডভাইস এল১ সনদপ্রাপ্ত, ফলে জনপ্রিয় অ্যাপের মাধ্যমে বাধাহীণ এইচডি কন্টেন্ট ষ্ট্রিমিং হবে নিশ্চিন্তে। এছাড়া দু’টি ডিভাইসেই থাকছে আলাদা স্টোরেজ স্লট যা সর্বোচ্চ ৫১২ জিবি পর্যন্ত সমর্থন করে এবং আছে ভিওএলটিই বা ভোল্টি সমর্থনযোগ্য ডুয়েল সিম ব্যবহারের সুবিধা। ফোনগুলোর দাম হবে ১২ হাজার টাকার আশেপাশে।