স্কুল ও কলেজ ফাঁকি দিয়ে ফেসবুকের নেশায় বুদ হয়ে থাকা সোহেল রানা ও হৃদয় অধিকারী নামে দুই ছাত্রকে ধরে অভিভাবকের কাছে সোপর্দ করেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম।
সদর উপজেলা পরিষদের পুকুর ঘাট থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি এন্ড্রয়েট মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তাদের মাথায় বড় বড় চুল নাপিত ডেকে কাটিয়ে ছোট করে দেন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম জানান, ঝিনাইদহ সদরের গোবিন্দপুর গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে শিশুকুঞ্জ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সোহেল রানা ও হামদহ ঘোষপাড়া এলাকার চিত্তরঞ্জন অধিকারীর ছেলে ওয়াজির আলী স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র হৃদয় অধিকারী ক্লাস ফাঁকি দিয়ে মোবাইল নিয়ে বুদ হয়ে ছিল। তাদের মাথায় বড় বড় চুল। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা দুই ছাত্রের অভিভাবক ও কলেজের অধ্যক্ষদের ডেকে তাদের পড়ালেখা সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এই কাজে খুশি হয়ে বলেন, দুই ছাত্র তাদের কথা শোনেন না। এ সময় নাপিত ডেকে দুই ছাত্রের লম্বা লম্বা চুল কাটিয়ে ছোট করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম। সোহেল রানা ও হৃদয় অধিকারী আর কোনো দিন স্কুল ও কলেজ ফাঁকি দিবেন না বলে মুচলেকা দেন।