ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্তে সোমবার বিএসএফের গুলিতে সোহেল রানা বাবু (১৮) নামের এক বাংলাদেশি যুবক মারা যান। এ নিয়ে গত ১০ দিনে বিএসএফের গুলিতে ঠাকুরগাঁও সীমান্তে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো তিনজনে। নিহত যুবক হরিপুর উপজেলার মুন্নাটলী মরাধার গ্রামের একরামুল হকের ছেলে।
সোহেল রানা বাবুর মরদেহ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত এলাকার তাঁরকাটার বেড়ায় ঝুঁলে ছিল। বিএসএফের গুলির আতঙ্কে ওই সীমানায় কেউ যাওয়ার সাহস পায়নি।
এর আগে ১৮ জানুয়ারি রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে রাণীশংকৈল উপজেলার শাহানাবাদ গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম রাজু (২১) ও ২২ জানুয়ারি হরিপুর উপজেলার মিনাপুর সীমান্তে উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের তালডাঙ্গী গ্রামের আব্দুল তোয়াফের ছেলে জেনারুল (১৮) নিহত হয়।
বিজিবি’র ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহা. মাসুদ বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন সীমান্তে ১০ দিনে ৩ জন বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে নিহতের ঘটনা খুবই দুঃজনক। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জোড়ালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।