ড্যারেন ইয়েস্টন। ২৪ বছর বয়সী এ যুবক মৃত্যুর মুখোমুখি। সিস্টিক ফাইব্রোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন হাসপাতালে। অপরদিকে লরেন পপে। যার বয়সও ২৪ বছর। এই তরুণীও সিস্টিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হয়ে মাত্র তিন বছর আগে দুটি ফুসফুস প্রতিস্থাপন করিয়েছেন।
ড্যারেনের ফুসফুস প্রতিস্থাপন কয়েকবার ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে লরেনের স্থাপিত ফুসফুস আর বেশিদিন কাজ করবে না। দু’জনেই জানতে পেরেছেন তাদের মৃত্যু আসন্ন। ২০১৫ সালে লরেনের সাথে হাসপাতালে পরিচয় হয় ড্যারেনের। সেই থেকে তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। একে অন্যের সাথে যোগাযোগও রাখেন।
সম্প্রতি ড্যারেন জানতে পেরেছেন তিনি আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাঁচবেন। তাই জীবনের শেষ ইচ্ছা হিসেবে বেছে নেন লরেনকে বিয়ে করা। লরেনকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি হন লরেন। লরেন কিছুটা সুস্থ হলেও হাসপাতাল ছাড়ার উপায় নেই ড্যারেনের। তাই উভয় পরিবারের সম্মতিতে হাসপাতালেই আয়োজন করা হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হিলিঙ্টন হাসপাতালে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। লন্ডনের হেয়ারফিল্ড হাসপাতালের এই অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের প্রায় ৬০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। বেশ ঘটা করেই বিয়ে হয় এই জুটির। নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও দু’জনে বিয়ে করতে পেরে খুশি। এখন মৃত্যুর পর তারা দু’জনে একসাথে শেষকৃত্যে যেতে চায়।
বিয়ের অনুষ্ঠানের পর ড্যারেন বলেন, ‘আমি যখন জানলাম আমি মুত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, আমরা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি; তখন চিন্তা করলাম আমাদের বিয়ে করা উচিৎ। আমি অন্যকিছুর চেয়ে লরেনকে বেশি ভালোবাসি। আমি জানি, আগে মারা যাব। কিন্তু আমি লরেনের সাথেই থাকবো।’
লরেন বলেন, ‘আমাদের ভালোবাসা আমাদের মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকবে। সবাইকে মারা যেতে হবে। আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু তাতো পূরণ হবে না। তাই অন্তত বিয়ের স্বপ্ন পূরণ হলো।’
সূত্র: ডেইলি মিরর।