এম জে অটো জাপান লিমিটেড কোম্পানির কর্ণধার সোহেল চৌধুরী বলেছেন, যেসব বাংলাদেশি ব্যবসা করতে চান তারা যেন সেই প্রতিষ্ঠানেই কাজ করে। পছন্দের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেই সফল ব্যবসায়ী হওয়া সম্ভব বলে আমি মনে করি। কমপক্ষে তিন থেকে চার বছর চাকরি করলেই কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতা সঞ্চার করা যায়। পরবর্তিতে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেও কিছু করা যায়।
তিনি বলেন, অর্থ থাকলেই ব্যবসা করা সম্ভব নয়। ব্যবসা করার জন্য সংশ্লিষ্ট পেশায় জড়িত থাকতে হবে। তবেই সফলতা ধরা দেবে বলে। আমি মূলত জাপানি গাড়িগুলো বাংলাদেশসহ কয়েকটা দেশে এক্সপোর্ট করে থাকি। বাংলাদেশে ৮০ শতাংশ গাড়িই আমার মাধ্যমে যায়।
জানা গেছে, সোহেল চৌধুরী ২০ বছর আগে ভাষা শেখার জন্য জাপানে পাড়ি জমান। ভাষা শেখার প্রাইমারি কোর্স শেষ করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পাশাপাশি সোহেল গাড়ি কারখানায় পার্ট টাইম জব করতেন। এরপর তিনি ৫ বছরে নিজেকে সফল গাড়ি ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তার গাড়ি কোম্পানিতে ৩ জন বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছে যাদের বাড়ি কুমিল্লা বলেও জানান। এ ছাড়া ৭ জন জাপানি নাগরিক রয়েছে।
সোহেল চৌধুরী বলেন, ‘লেখাপড়ার পাশাপাশি পার্ট টাইম কাজ করতাম। তবে আমার লক্ষ্য ছিল বড় কিছু করার। গাড়ি কোম্পানিতে টানা ১০ বছর চাকরি করেছি। অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজে কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছি ২০১৩ সালে। এখন আমার কোম্পানি থেকে, কেনিয়া, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৩০০ গাড়ি এক্সপোর্ট করি।
টয়োটা মিসুবিসি গাড়িই বেশি এক্সপোর্ট করি। মূলত জাপানে নিলামের গাড়িগুলো সংগ্রহ করে রফতানি করি। এসব গাড়িগুলো জাপানিরা অল্পদিন ব্যবহার করে সেল করে দেয়। বাংলাদেশে গাড়ি এক্সপোর্ট করতে কোনো সমস্যা হয় না। তবে সরকার আমাদের আরেকটু সুযোগ-সুবিধা দিলে ভালো হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশেও প্রতিমাসে কমপক্ষে ২০০-২৫০ রিকন্ডিশন গাড়ি রফতানি করি। সরকার যদি গাড়ি খাতে শুল্ক আরও কমিয়ে নিয়ে আসে আমাদের রিকন্ডিশন গাড়ির বাজার আরও ভালো করা সম্ভব হবে।
লেখক- ফখরুল ইসলাম, সৌজন্যে- জাগো নিউজ