শরীরে দুর্গন্ধের কারণে ১৯ মাস বয়সী একটি শিশুসহ ইয়োসি এডলার ও জেনি নামে এক মার্কিন দম্পতিকে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ব গণমাধ্যমে চলছে তুমুল সমালোচনা।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ছোট্ট শিশু সঙ্গে নিয়ে বিমানে ওঠার পর অন্যান্য যাত্রী এবং ক্রু সদস্যরা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের কাছে দুর্গন্ধের একটি অভিযোগ দেন। তখন এয়ারলাইন্স কর্মকর্তারা ওই দম্পতিকে বিমান থেকে নেমে যেতে বলেন।
শুক্রবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঘটনার বর্ণনায় এডলার এও বলেন, তখন প্রকৃত কারণ জানতে চাইলে বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, শরীরের দুর্গন্ধের কারণেই আপনাদেরকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্য কিছু নয়। কিন্তু আমরা মনে করি- এটি একটি ‘এন্টি-সেমিটিক’ কারণ ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি সেখানে শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি। বিমানের এক কর্মচারীর সঙ্গে নীরবে কথা বলেছি। তখন তিনি আমাকে বলেছেন, বিমানের মধ্যে দু’জন ইহুদী আছেন, যারা আমরা। আমাদের না-কি লাথি মেরে বিমান থেকে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন দুর্গন্ধের কারণে। অথচ আমরা মনে করি না আমাদের শরীরে দুর্গন্ধ আছে।
বিষয়টি সামনে আসতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করে পুরো ঘটনার পক্ষে কথা বলে বিবৃতি দিয়েছে সেই আমেরিকান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, ‘‘অনেকেই ওই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাই নামিয়ে দেওয়া হয়। তবে রাত কাটানোর জন্য হোটেলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। জোগানো হয়েছিল খাবারও। পরদিন অন্য একটি বিমানে আসনের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়।”
তারা দাবি করেন নিয়ম বহির্ভূত কিছু করেননি বিমানকর্মীরা। কারণ বিমানসংস্থার নিয়মাবলীতেই বলা রয়েছে, শারীরিক অসুস্থতা ছাড়া কারও শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে সেই ব্যক্তিকে বিমান থেকে নামিয়ে দিতে পারেন বিমানকর্মীরা।