Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

toilet-tussue-britainটয়লেট টিস্যুতে আরবি হরফে ‘আল্লাহ’ খচিত রয়েছে- এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্রিটেনের মুসলিমরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। বিখ্যাত কোম্পানি মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের বাজারজাত করা টয়লেট টিস্যুতে এমন ‘অনৈতিকতা’ দেখতে পাওয়ায় তারা কোম্পানিটির পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়ে অন্যদেরও তা করার আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও কোম্পানিটি তা অস্বীকার করেছে।

এ ছাড়া দুই হাজারের বেশি মুসলিম এমন একটি পিটিশনে সই করেছেন যাতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ‘এর মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে’।

chardike-ad

টুইটার ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, অ্যালোভেরা টয়লেট টিস্যু নামের ওই টিস্যুর রোলে আরবিতে ‘আল্লাহ’ খচিত রয়েছে। এক ব্যক্তি আড়াই পাউন্ড দিয়ে একটি টিস্যু কিনে গাড়ির ওপর রেখে তা বার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছেন ও ভিডিও করছেন। সেইসঙ্গে একটি কণ্ঠস্বর সালাম দিয়ে সব ‘ভাই ও বোনকে’ওই পণ্য না কেনার আহ্বান জানাচ্ছে। ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হলে বিক্ষুব্ধ হয় মুসলিমরা।

তবে মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার টুইটারে এক প্রতিক্রিয়ায় জোর দিয়ে বলেছে, ‘আমাদের টিস্যুতে অ্যালোভেরা পাতার নকশা ছাপা রয়েছে। গত পাঁচ বছর ধরে আমরা এটি বাজারজাত করছি। এটা সন্দেহাতীতভাবে অ্যালোভেরা পাতা। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি এবং আমাদের সরবরাহকারীদেরও বিষয়টি নিশ্চিত করেছি।’

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য সান বলছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত হচ্ছে না। মুসা আহমেদ নামের একজন একটি পিটিশনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে এই টিস্যু পেপারগুলো দোকানের তাক থেকে সরিয়ে ফেলার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘এটি আমাদের ধর্মের অবমাননা।’ তিনি আরো বলেন, ‘এটা ইসলামকে অপমান করার একটা ঘৃণ্য চেষ্টা।’

ফেসবুকে সামিরা আক্তার নামের একজন লিখেছেন, ‘এটা একদম ন্যাক্কারজনক। এতে আমার মতো বহু মানুষ মর্মাহত ও কষ্ট পেয়েছেন।’ ‘আমি আরো বেশি আহত হয়েছি এ কারণে যে, তারা এটাকে অ্যালোভেরা গাছের প্রতিরূপ বলে চালানোর চেষ্টা করছে,’ লেখেন সামিরা।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি তো নিশ্চিতভাবেই মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের পণ্য বর্জন করছি এবং তাদের উৎসাহ দিচ্ছি, যারা মনে করেন এই পণ্যের মাধ্যমে অপরাধ করা হয়েছে, তারাও এটি (বর্জন) করতে পারেন।’

তবে সবাই যে টিস্যুতে এই ‘আল্লাহ’ খচিত দেখতে পাচ্ছে তা নয়। যেমন- আসিফ মাজিক নামের একজন লিখেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মোটেও সে ধরনের কোনো সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছি না। সম্ভবত আমার স্পেসসেভার্সে (ব্রিটেনে চশমার চেইন শপ, বিশ্বব্যাপী এর বাজার রয়েছে) যাওয়া উচিত।’