Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

comilla-bplলক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না, ১৫৪ রানের। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে এই লক্ষ্যকেও পাহাড়সম করে তুলে ঢাকা ডায়নামাইটস। শেষ পর্যন্ত তারা যেতে পেরেছে ৯ উইকেটে ১৪৬ রান পর্যন্ত।

ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৭ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার চার নম্বর থেকে তিনে উঠে এসেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৮ ম্যাচে ৫ জয়ে তাদের এখন ১০ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট থাকলেও রানরেটে এগিয়ে থাকা সাকিব আল হাসানের ঢাকা আছে এক নম্বরেই।

chardike-ad

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৫০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা। পঞ্চম উইকেটে আন্দ্রে রাসেল আর সাকিব মিলে ৬২ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ২৪ বলে ২ চার আর ৫ ছক্কায় ভয়ংকর হয়ে ওঠা রাসেলকে ৪৬ রানে ফিরিয়ে দেন থিসারা পেরেরা।

এরপর দলের শেষ ভরসা সাকিবও ১৯ বলে ২০ করে শহীদ আফ্রিদির শিকার হন। পরের ওভারে শুভাগত আর নুরুল হাসানকে আউট করেন পেরেরা। ১৭ ওভারের মধ্যে স্বীকৃত সব ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ঢাকা। লোয়ার অর্ডাররা আর দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারেননি। থিসারা পেরেরা ১৪ রানে ৩টি আর শহীদ আফ্রিদি মাত্র ১৮ রান খরচায় নিয়েছেন ২টি উইকেট।

এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৩ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানের মধ্যে এনামুল হক বিজয় (১) আর ইমরুলকে (৭) হারিয়ে বিপদে পড়েছিল তারা। এরপর শামসুর রহমান শুভ আর তামিম ইকবাল দলকে নিয়ে যান ৭৮ রান পর্যন্ত।

তাদের ৫১ রানের জুটিটি ভাঙে তামিম ২৯ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ৩৪ রান করে সাকিব আল হাসানের শিকার হলে। ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি। কিন্তু ৮ বলে ১৬ রান করা পাকিস্তানি অলরাউন্ডারকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন সাকিব।

ওই ওভারেই সেট ব্যাটসম্যান শামসুর রহমানকেও হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের ক্যাচ বানান সাকিব। ৩৫ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় শামসুর করেন ৪৮ রান।

১১২ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে কুমিল্লা। সেখান থেকে দলকে লড়াকু পুঁজি পর্যন্ত নিয়ে যান থিসারা পেরেরা। মাত্র ১২ বলে ৩ ছক্কায় ২৬ রান করা লঙ্কান এই অলরাউন্ডার ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলেই রানআউটের কবলে পড়ায় পুঁজিটা আরও বড় হয়নি কুমিল্লার।

ঢাকা ডায়নামাইটসের পক্ষে সবচেয়ে সফল ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানই। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৪ রান খরচায় তিনি নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া আন্দ্রে রাসেল আর রুবেল হোসেনও পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।