স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিক্যাল এডুকেশন শাখার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী একই অধিদপ্তরের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার স্টেনোগ্রাফার রুবিনা খানমের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুর্নীতি দমন কমিশনের এক আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম আদালতে এ আবেদন করেন। তিনিই ওই দম্পতির সম্পদ অনুসন্ধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। গত ১০ জানুয়ারি এ কর্মকর্তা আবজাল দম্পতিকে তাদের সম্পত্তির বিষয়ে দুদকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বিপুল সম্পদের তথ্য পেয়েই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে এই দুজনের বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রীর নামে রাজধানীর উত্তরায় ১৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডে তিনটি পাঁচতলা বাড়ি রয়েছে। বাড়ি নম্বর ৪৭, ৬২ ও ৬৬। ১৬ নম্বর রোডে রয়েছে পাঁচতলা বাড়ি। বাড়ি নম্বর ১৬। উত্তরার ১১ নম্বর রোডে রয়েছে একটি প্লট। প্লট নম্বর ৪৯। এছাড়া, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ও ফরিদপুরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তাদের অঢেল সম্পদ। অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে তাদের বাড়ি। দুদক সেই বাড়ির সন্ধানও পেয়েছে বলে জানা যায়।
আবজাল দম্পতির বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু হলে অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সামসুল আলম তাদের বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আবেদন করলে তা গৃহীত হয়। গত সোমবার তিনি পুলিশের বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর এ আবেদন করেন।
আবজাল হোসেনের মাসিক বেতন মাত্র ২৪ হাজার টাকা হলেও তিনি মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বিলাসবহুল একটি বাড়ি কিনেছেন। তার স্ত্রী রুবিনা খানম একজন স্টেনোগ্রাফার। ২০ হাজার টাকার মতো মাসিক বেতন পেয়ে রাজধানী ঢাকায় বেশ কয়েকটি ভবনের মালিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে এসব বেরিয়ে এসেছে। দুদকের কাছে জমা দেওয়া সম্পদের বিবরণীতে তারা ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি কথা জানিয়েছেন। তবে দুদকের অনুসন্ধানে তাদের শত কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।