মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াঁতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হন ইতালি প্রবাসী নাজিম উদ্দিনের আপন ছোট ভাই ফখরুল চৌধুরী। খুনের এক বছর পার হলেও খুনীদের বিচার হয়নি। খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন নাজিম উদ্দিন।
রোমের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা তরপিনাত্তারা রসই রেস্টুরেন্টের হলরুমে ছোট ভাই ফখরুলের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ বিচার দাবি জানান তিনি।
সভায় নিহতের বড় ভাই প্রবাসী ব্যাংকার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন সেই নৃশংস ঘটনার বর্ণনা দেন। ছোট ভাইয়ের খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাদকের গোপন তথ্য প্রশাসনকে জানিয়ে দেয়ায় আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হয়েও তাকে নৃঃশংসভাবে খুন করা হয়।’
সাখাওয়াত হোসেনের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল। এ সময় বক্তব্য রাখেন ইতালি যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রসুুল কিটন, শেখ মামুন, বাংকার ব্যবসায়ী সমিতি প্রধান উপদেষ্টা এম ডি তারা প্রমুখ।
ঘটনার বর্ণনায় নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি সৌদি প্রবাসী নিহত ফখরুল উদ্দিন চৌধুরী ৯ বছর পর দেশে ফিরলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নামধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন অপকর্ম ও তাদের নিষিদ্ধ ব্যবসা ইয়াবা-সংক্রান্ত গোপন তথ্য জেনে যান। পরে তিনি তা প্রকাশ করে দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মমভাবে খুন করে বাড়ির পাশের রাস্তার ওপর ফেলে যায়।’ নোয়াখালীর দাগনভূঁইয়াতে তারা আওয়ামী লীগের পরিবার হিসেবে সুপরিচিত বলে জানান তিনি।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘এক বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোনো শাস্তি হলো না, বরং সন্ত্রাসীরা দুর্দান্ত দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ফেনীর আলাউদ্দিন নাসিম, নিজাম হাজারীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইতালি আওয়ামী লীগর সাংগঠনিক সম্পাদক দীন মোহাম্মদ দিনু, ইতালি আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক হাবীব মোকদম, মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিমা পপিসহ প্রমুখ।