কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা ও ভাঙচুরের জেরে তিন শতাধিক শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। হাঙ্গামাসহ নানা বিশৃঙ্খলাপূর্ণ কাজে জড়িত থাকার দায়ে কুয়েতের আইন অনুযায়ী তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির সরকার। ভবিষ্যতে যাতে তারা কুয়েতে ঢুকতে না পারেন সেজন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের রাখার অনুরোধ করলেও তা গ্রহণ করবে না কুয়েত সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুয়েতস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কয়েক শতাধিক বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির আইন-প্রয়োগকারী সংস্থা। দূতাবাসের মতো স্পর্শকাতর স্থানে হামলার তদন্ত করছে কুয়েতের বিভিন্ন সংস্থা। বাংলাদেশিদের বিষয়ে আইন অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো কথা গ্রাহ্য হবে না।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে দেশটির ‘লেসকো কোম্পানিতে’ কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকরা রাষ্ট্রদূতের কাছে তাদের বকেয়া বেতন ও আকামা সমস্যার অভিযোগ দেন। সেই প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদূত কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে তাদের এ সমস্যা দ্রুত সময়ে সমাধান করার আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি লিখিত আশ্বাসপত্রও নেন রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম।
সেসময় রাষ্ট্রদূত শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্তু শ্রমিকরা দূতাবাস থেকে বের হওয়ার সময় উত্তেজিত হয়ে দূতাবাসের বাইরে ও ভেতরে টিভি, কম্পিউটারসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।