অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন খলিফা আল থানি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নতুন আইন পাস করেছেন। এই আইন পাসের মাধ্যমে অন্য দেশের নাগরিকরা কাতারে শতভাগ মালিকানায় বিনিয়োগ করতে পারবেন। শতভাগ মালিকানা আইনের প্রজ্ঞাপন জারির আট মাস আগেই বিশেষ বিবেচনায় কাতারের সর্বপ্রথম শতভাগ মালিকানার লাইসেন্সের অধিকারী হয়েছেন বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী ইঞ্জিনিয়ার আবু ওয়ালিদ মোহাম্মদ ফয়জুল বারী।
গত বছরের এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখে তিনি কাতার-বাংলাদেশ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কো. ডব্লিউএলএল (কিউবি সফ্ট) কোম্পানির লাইসেন্স পান। এর মাধ্যমে কাতারে শতভাগ মালিকানার বিনিয়োগে তিনি মাইলফলক হিসেবে থাকবেন বলে মনে করছেন কাতারে বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীরা।
বিপুল খনিজ সম্পদে ভরপুর কাতারে রয়েছে বিশাল প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত। গ্যাস মজুতের দিক থেকে কাতার বিশ্বে তৃতীয়। আগামী ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলেরও আয়োজক দেশ কাতার। ২০১৭ সালের ৫ জুন সৌদি আরব,মিশর, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এই চারটি দেশ একসঙ্গে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করেছিল। ১৯ মাস পরেও অবরোধ এখনও বহাল রয়েছে। এমতাবস্থায় কাতারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, তাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি যে মজবুত সেটি প্রমাণ করা। বিনিয়োগের জন্য কাতার যে একটি ভালো জায়গা সেটি ইতোমধ্যে কাতার খুব ভালোভাবেই প্রমাণ করতে পেরেছে।
শতভাগ মালিকানার লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার আবু ওয়ালিদের কাছে লাইসেন্স প্রাপ্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘আমি গত ১২ বছর কাতারের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আবদুল্লাহ আবদুল গনিতে (টয়োটা) আইটি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করি। ২০১৭ সালে চাকরি ছেড়ে দেশে চলে যাই। এরপর ২০১৮ সালে নতুন ভিসা নিয়ে আবার কাতারে আসি। আমার ইচ্ছে ছিলো কাতারের আইটি সেক্টরে ইনভেস্ট করার।
এর কিছুদিনের মাঝেই কাতার শতভাগ অভিবাসী বিনিয়োগের আইন পাস করে। খবরটা শোনার পর থেকেই আমি চেষ্টা করতে থাকি লাইসেন্স নেওয়ার জন্য,কিন্তু তখনও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় আমাকে এক মন্ত্রণালয় থেকে অন্য মন্ত্রণালয়ে বেশ দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। প্রায় দুই মাস চেষ্টার পর ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল কাতার সরকার আমার শতভাগ মালিকানায় কাতার-বাংলাদেশ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (কিউবি সফ্ট) কোম্পানির লাইসেন্স প্রদান করেন।’
তিনি আরও বলেন,‘কাতার সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নানারকম সুবিধা প্রদান করছে। আমি আশা করি এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা কাতারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।’
সৌজন্যে- বাংলা ট্রিবিউন