বাসে উঠে ভাড়া দিতে গিয়ে পকেটে হাত দিতেই এক যাত্রী দেখলেন তার ফোন-মানিব্যাগ নেই। পকেটমার খুব সাবধানে তার মানিব্যাগ নিয়ে উধাও। এমনটা হরহামেশাই ঘটে বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকাতে। আপনিও হয়তো এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। তখন হয়তো মনে মনে বললেন, বিদেশেই হয়তো শান্তি, পকেটমার নেই। কিন্তু সত্যিটা হলো ভাগ্য খারাপ হলে বিদেশে বেড়াতে গিয়েও পড়তে পারেন পকেটমারের পাল্লায়।
ট্রিপ অ্যাডভাইজার নামের একটি সংস্থা একটি তালিকা তৈরি করেছে পর্যটকদের জন্য। তালিকায় উঠে এসেছে সবচাইতে বেশী পকেটমারি হয় এমন দশটি শহরের নাম। তবে ঢাকা নেই এই তালিকায়।
পর্যটকদের থেকে তথ্য নিয়ে তৈরি করা এই তালিকার শুরুতেই আছে বার্সেলোনার নাম। স্পেনের বার্সেলোনা সবসময়েই টুরিস্টে ভরপুর থাকে। আর ভিড়ের সুযোগটাকেই কাজে লাগায় পকেটমাররা। স্পেনের মাদ্রিদও এই তালিকার চতুর্থ স্থানে আছে।
তালিকার প্রথম পাঁচে স্থান করে নিয়েছে রোম, প্রাগ এবং প্যারিস। মজার ব্যাপার হলো তালিকার প্রথম দশের মধ্যে আটটি শহরই ইউরোপের। ইউরোপের বাইরে প্রথম দশের দুটি শহর হলো আর্জেন্টিনার বুনোস এয়ারস এবং ভিয়েতনামের হ্যানোই।
জরিপে দেখা গেছে শহরে পর্যটকদের ভিড় যেসব স্থানে, সেখানেই পকেটমারদের আনাগোনা বেশী। ভিড়ের সুযোগে দক্ষতার সঙ্গে তারা পকেট থেকে ফোন এবং মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। এমনকি নারী পর্যটকদের ব্যাগের চেইন খুলেও অর্থ নিয়ে নেয় তারা।
এই তালিকা দেয়ার পেছনে অবশ্য একটা উদ্দেশ্য আছে। আর তা হলো পর্যটকদের সাবধান করা। পকেটমারের ভয়ে তো আর বেড়ানো বন্ধ করা যাবে না। তাই যে কোনো ভিড় স্থানে নিজের পকেট সামলে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নাহলে বেড়াতে গিয়ে উপভোগ করার বদলে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট