কাগজে-কলমে শক্তিশালি দল, তবে বড় তারকাদের নিয়েও কিন্তু অনেক সময় প্রত্যাশিত ফল পায় না দলগুলো। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ঢাকা ডায়নামাইটস ঠিকই পাচ্ছে। তারকাখচিত দলটি এবারের বিপিএলে জিতেই চলেছে। সিলেট সিক্সার্সকে ৩২ রানে হারিয়ে টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা।
পরাজয়ের ব্যবধানটা যদিও ওত বড় দেখাচ্ছে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ম্যাচে কখনই লড়াইয়ে ছিল না সিলেট সিক্সার্স। ১৭৪ রানের লক্ষ তাড়া করতে নেমে ২৯ রানে ৪টি আর ৭৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ডেভিড ওয়ার্নারের দল। ওয়ার্নার নিজেও ছিলেন ব্যর্থদের তালিকায়। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার করেন কেবল ৭ রান।
সিলেট যে পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে পেরেছে তার কৃতিত্ব নিকোলাস পুরানের। ৪৭ বলে ১ চার আর ৯টি ছক্কায় ৭২ রান করেন ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান। সাব্বির করেন ১০ বলে ১২। ঢাকার পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল রুবেল হোসেন। ৩ ওভারে ২২ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন জাতীয় দলের এই পেসার।
এর আগে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরও ৭ উইকেটে ১৭৩ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়েছিল ঢাকা। অথচ একটা সময় ১২৫ রানের মধ্যেই ছিল না তাদের ৭ উইকেট। ওপেনিংয়ের ঝড়ের সূচনাটা করেছিলেন সুনিল নারিন। মাত্র ৪ রানে হযরতউল্লাহ জাজাই ফেরার পর ছোটখাট একটা ঝড় তুলেছিলেন তিনি। ২১ বলে ২টি করে চার ছক্কায় ২৫ রান করেন সাজঘরে ফেরেন ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার।
তবে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সঙ্গে দায়িত্বটাও পালন করেছেন রনি তালুকদার। ৩৪ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৫৮ রান করেন তিনি। এরপর সাকিব আল হাসান ১৭ বলে ২৩ করে আউট হলে দ্রুত আরও কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা।
১২৫ রানে ৭ উইকেট হারানো দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন লোয়ার অর্ডারের নুরুল হাসান আর মোহাম্মদ নাঈম। ১০ বলে ১ ছক্কায় ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন নুরুল। ২৩ বলে ১টি করে চার ছক্কায় হার না মানা ২৫ রান আসে নাঈমের ব্যাট থেকে।
সিলেটের তাসকিন আহমেদ পান ৩ উইকেট। শুরুতে দুর্দান্ত বোলিং করলেও শেষ ওভারে এসে বেশি রান খরচ করে ফেলেন তিনি। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে খরচা ৩৮ রান।