Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

খন্দকার মোঃ ফারুক ওরফে ওমর মবিন (৫২)। পাঁচ বছর আগে ছিলেন জামালপুরের এক সাংসদের পিএস। পিএস হিসেবে চাকরি ছাড়ার পর অল্প দিনেই আর্থিকভাবে তিনি ফুলে-ফেপে উঠলেন। নিজেকে কখনো কাস্টমস কমিশনার, কখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

chardike-ad

জানা যায়, এই প্রতারণা কর্মের জন্য তিনি একটি সুসংগঠিত প্রতারণা চক্র গড়ে তোলেন। প্রতারক ফারুকের সঙ্গে সব সময় থাকতো দু’জন পিএস।

তিনি সব সময় দামি পোশাক পরে চলাফেরা করতেন প্রাডো গাড়িতে। ক্লায়েন্টদের টার্গেট করে প্রতারণার চুক্তি করতেন নামি-দামি অভিজাত হোটেলে। কাস্টমস হাউজের জব্দ স্বর্ণের বার নিলামের মাধ্যমে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময় কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এই প্রতারক ফারুক।

বুধবার (৯ জানুযারি) রাতে রাজধানীর রমনা থানাধীন বেইলি রোডের নবাবী ভোজ রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে প্রতারক ফারুকসহ তার পিএস মোহাম্মদ ইলিয়াস ওরফে নুর ইসলাম সরকার (৩৮) ও সাইফুল ইসলামকে (৩০) আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এসময় তাদের কাছ থেকে ১ টি ওমর মবিন নামের কাস্টমস সহকারী কমিশনারের ভিজিটিং কার্ড, ৪টি ব্যাংকের চেকের পাতা, ৭টি মোবাইল ও ১৩টি বিভিন্ন অপারেটর সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির সিরিয়াস অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কোয়াডের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) সৈয়দা জান্নাত আরা।

তিনি বলেন, প্রতারকচক্রের সদস্যরা কাস্টমস হাউজের জব্দ স্বর্ণের বার নিলামের মাধ্যমে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ইতোমধ্যেই কয়েকজন ভুক্তভোগী পাওয়া গেছে।

আটকদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে রমনা থানায় একটি মামলা (নং-১৮) দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান সিআইডির এ কর্মকর্তা।