শিগগিরই ইরান থেকে জ্বালানি তেল কেনা শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রেতারা। চলতি জানুয়ারি অথবা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে তেল কেনা শুরু হতে পারে বলে দেশটির এসকে ইনোভেশনের প্রধান জানিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় তেল শোধনকারী প্রতিষ্ঠান এসকে এনার্জির স্বত্বাধিকারী এসকে ইনোভেশন। খবর: রয়টার্স।
গত নভেম্বরে ইরানের ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে ছয় মাসের ছাড় পায় দক্ষিণ কোরিয়া। এতে তাদের জন্য সীমিত পরিমাণে ইরানের তেল কেনার পথ তৈরি হয়, যদিও গত সেপ্টেম্বরের পর থেকে ইরান থেকে কোনো অশোধিত তেল কেনেনি দক্ষিণ কোরিয়া।
এসকে ইনোভেশনের প্রধান কিম জুন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ছাড় পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম দফায় তেল কেনার জন্য ইরানের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে চলতি জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ইরানের তেল কেনা হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের ক্রেতারা চলতি বছরের শুরু থেকেই ইরানের তেল কিনতে পারে বলে বাজারসংশ্লিষ্টরা গত নভেম্বরে জানায়। দক্ষিণ কোরিয়া দিনে দুই লাখ ব্যারেল ইরানের তেল কিনতে পারবে। দেশটি ইরানের তেলের তৃতীয় বৃহত্তম ক্রেতা হিসেবে বিবেচিত। এছাড়া ইরানের কনডেনসেট তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতাও দক্ষিণ কোরিয়া।
ডেইমলার ও ভক্সওয়াগনের বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি সরবরাহকারী এসকে ইনোভেশনের প্রধান কিম আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্যাটারি উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে পাঁচশ কোটি ডলার করা হতে পারে। এ ধরনের পণ্যের বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে বাড়তি বিনিয়োগ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান থেকে তেল কিনতে পারবে না বিশ্বের অনেক দেশ। তবে জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েক দিন মিত্র দেশকে ট্রাম্প প্রশাসন সাময়িক ছাড় দেওয়ায় তারা সীমিত পরিমাণে ইরানের তেল কিনতে পারবে।