নেপাল সরকার নতুন একটি আইণ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এই আইনের মাধ্যমে প্রত্যেক সন্তান তাদের আয়ের পাঁচ থেকে দশ শতাংশ বাধ্যতামূলক তাদের মা-বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেবেন। আর এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবাদের যেন অস্বচ্ছল জীবন যাপন করতে না হয় সে জন্য।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন নেপাল সরকারের এক মুখপাত্র। এদিকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা কুন্দন আরিয়ালও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রচলিত সিনিয়র সিটিজেন অ্যাক্ট-২০০৬ সংশোধন করার জন্য পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপনের বিষয়ে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা কুন্দন আরিয়াল বলেন, প্রস্তাবিত এই বিলটির মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের বয়স্ক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নতুন এই বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক ছেলে-মেয়ে তার আয়ের পাঁচ থেকে দশ শতাংশ তাদের বাবা-মায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে বাধ্য থাকবে।
কুন্দন আরিয়াল আরও বলেন, ‘আমাদের হাতে তথ্য আছে ধনী পরিবারের সন্তানরা তাদের মা-বাবাকে বেশিরভাগ সময় বঞ্চিত ও অবহেলা করেন।। বৃদ্ধরা পারিবারিকভাবে যাতে এরকম লাঞ্চনার শিকার না হয় সেটাকে নিরুৎসাহিত করতেই এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।’
দেশটিতে বিদ্যমান সিনিয়র সিটিজেন অ্যাক্ট-২০০৬ অনুযায়ী, ষাট বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিরা সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে বিবেচিত হবেন। এই আইনে সন্তানদেরকে তাদের বৃদ্ধ বাবা-মায়ের ভরণ পোষণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু নতুন এই আইনটিতে প্রত্যেকটি সন্তান তাদের বাবা-মাকে আয়ের একটা অংশ দিতে বাধ্য থাকবে।
কেউ যদি আইন না মানে কিংবা আইন ভঙ্গ করে তাহলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। আর শাস্তি হিসেবে যে অর্থ জরিমানা করা হবে সেটাও তাদের বাবা-মায়ের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। পার্লামেন্টে বিলটি পাস হলেই তা কার্যকর হবে।