Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

wifeবিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন করে জীবন শুরু করতে চাইছিলেন অদিতি। তার সঙ্গে ছিল ১৫ বছরের একটি ছেলে। ছেলের অভিভাবকের প্রয়োজনবোধ থেকে প্রত্রিকায় পাত্র চাই বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন ওই নারী। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তৃতীয়বারের মতো তার বিয়ের বন্দোবস্ত প্রায় শেষ। কিন্তু ঝামেলা শুরু করেন প্রাক্তন স্বামী প্রতুল চক্রবর্তী। তাইতো প্রতুলকে খুন করেন অদিতি।

তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অদিতি বিয়ের প্রস্তুতি নিলে প্রাক্তন স্বামী প্রতুল তাকে বাধা দেন। প্রতুল নাকি অদিতিকে বিয়ে করতে যাওয়া ওই ছেলের সঙ্গেও দেখা করেন। প্রতুল তাকে বলেন, অদিতির সঙ্গে এখনও আইনিভাবে বিচ্ছেদ হয়নি তার। একথা জানতে পেরেই প্রাক্তন স্বামীকে খুন করেন অদিতি।

chardike-ad

অদিতিও তার প্রাক্তন স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘প্রমাণ অদৃশ্য করতে মোবাইল ফোন পানিতে ফেলে দিয়েছি।’ কিন্তু খুনের সঠিক উদ্দেশ্য কী তা জানতে জানতে দু’টো মোবাইল ফোনের ওপর ভরসা করছেন তদন্তকারীরা।

গত শনিবার গভীর রাতে অদিতি ও তার সাবেক স্বামীর মধ্যে কথা হওয়া একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, ওই মোবাইল দু’টির কথা বলার তালিকা থেকে পাওয়া যেতে পারে নতুন কোনো তথ্য। যদিও প্রতুলের আই ফোনটি এখনও পুলিশ খুঁজে পায়নি।

গ্রেফতার অদিতি তার প্রাক্তন স্বামী প্রতুলের মোবাইল ফোনটি পানিতে ফেলে দেয়ার কথা বললেও পুলিশ তা মানতে নারাজ। এদিকে অদিতিও বারবার তার কথা ঘোরাচ্ছে। একেক সময় একেক রকম তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে তদন্ত কর্মকর্তাদের।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর-চব্বিশ পরগনা জেলার খড়দহ থানায় প্রাক্তন স্বামী প্রতুল চক্রবর্তীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন অদিতি চক্রবর্তী।

অদিতির ভাষ্যমতে, পুনরায় বিয়ের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন অদিতি। তাতেই রেগে যান প্রাক্তন স্বামী প্রতুল। অদিতির দাবি, পুরনো সম্পর্ক জোড়া লাগাতে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন প্রতুল। তাতেই প্রতুলের উপর তার আক্রোশ জন্মেছিল। আর সেই আক্রোশ থেকে প্রতুলকে খুন করেন তিনি।