মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৬ রানে হারিয়ে সমতায় ফিরেছে টাইগাররা। এই ম্যাচে ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে একাই নায়কে পরিণত হন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ২৬ বলে অপরাজিত ৪২ রান করার পাশাপাশি বল হাতে একাই নেন ৫ উইকেট।
কিন্তু এমন ম্যাচেও জরিমানার কলঙ্ক লেপ্টে গেলো টাইগারদের শরীরে। শুধু বাংলাদেশ দলই নয়, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দেরও গুণতে হচ্ছে জরিমানার অংক। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্লো ওভার রেটের কারণে দুই দলকেই এই জরিমানা করেছেন আইসিসি এলিট প্যানেলের রেফারি জেফ ক্রো। যিনি বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ তাদের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক ওভার বেশি বোলিং করেছে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছে ২ ওভার বেশি। আইসিসির নিয়মানুসারে স্লো ওভার রেটের শাস্তি, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে যত ওভার বেশি করা হবে, ওভার প্রতি প্রতিটি খেলোয়াড়ের জরিমানা ১০ ভাগ ম্যাচ ফি। একই সঙ্গে অধিনায়কের জরিমানা ডাবল, অর্থ্যাৎ, ২০ ভাগ।
সে হিসেবে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ম্যাচ ফি’র ২০ ভাগ জরিমানা করা হয়েছে। বিপরীতে তার সতীর্থদের জরিমানা করা হয়েছে ১০ ভাগ ম্যাচ ফি।
অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের খেলোয়াড়দের জরিমানা করা হয়েছে ম্যাচ ফি’র ২০ ভাগ করে। অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের জরিমানা করা হয়েছে ম্যাচ ফি’র ৪০ ভাগ।
আগামী ১২ মাসের মধ্যে যদি দুই দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের অধীনে এ ধরনের কোনো অপরাধ করে থাকে সংশ্লিষ্ট দুই দল, তাহলে তা বড় অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং দুই অধিনায়কই এক ম্যাচ করে নিষিদ্ধ হয়ে যাবেন।
বৃহস্পতিবার ম্যাচ শেষে দুই অধিনায়ককে এ ব্যাপারে জানানো হয় ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর পক্ষ থেকে এবং দুই অধিনায়কই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায়, আনুষ্ঠানিক শুনানির কোনো প্রয়োজন হয়নি।