Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

shakib-mahmudullahসিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্রুতগতির ও তুলনামূলক উইকেটে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ১২৯ রানে; কিন্তু মাঠ বদলে দেশের হোম অব ক্রিকেট তথা মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসতেই বদলে গেলো বাংলাদেশ দলের চেহারাও।

ইনিংসের শুরুতে লিটন দাস-সৌম্য সরকার আর শেষে সাকিব আল হাসান-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মিরপুরের মাঠের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ দল।

chardike-ad

শেষ দুই ওভারে প্রত্যাশামাফিক রান না আসায় অল্পের জন্য নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। দুর্দান্ত খেলতে থাকা সাকিব ও রিয়াদ উইকেটে থাকার পরও শেষের দুই ওভারে রান এসেছে কেবল ১৬।

তবে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান করেছিলো বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের পক্ষে লিটন দাস সর্বোচ্চ ৬০ রান করেছেন। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত ৪৩, সাকিব আল হাসান অপরাজিত ৪২ ও সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩২ রানের ইনিংস। এবারই প্রথম কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের চার ব্যাটসম্যান ত্রিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেললেন।

২১১ রানের এ ইনিংসটি বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। তবে মিরপুরের মাঠের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এতোদিন ধরে এ রেকর্ডটি ছিলো নিউজিল্যান্ডের দখলে। ২০১৩ সালে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২০৪ রান করেছিল কিউইরা। এবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সে রেকর্ড নিজেদের নামেই লিখে রাখলো বাংলাদেশ।

টসে হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের প্রথম পাওয়ার প্লে’তে ছিলো ১ উইকেটে ৬১ রান, শেষপর্যন্ত হয়েছে বিশ ওভারে ২১১ রান। যার মানে দাঁড়ায় শেষের ১৪ ওভারে ঠিক ১৫০ রান করেছে বাংলাদেশ। এর প্রায় পুরো কৃতিত্বই সাকিব ও রিয়াদের। দুজন মিলে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাত্র ৪২ বলে করেছেন ৯১ রান।

এর আগে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ২৬ বলে ৪২ রান করে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দ্বিতীয় উইকেটে রানের এ ধারা বজায় রাখেন সৌম্য ও লিটন। এ দু’জনের জুটিতে মাত্র ৪৩ বলে আসে ৬৮ রান। সৌম্য ২১ বলে ৩২ ও লিটন আউট হন ৩৪ বলে ৬০ রান করে।

মুশফিকুর রহীম অল্পেই (৩ বলে ১) ফিরে গেলেও শেষদিকে ঝড়ো ফিনিশিংয়ের দায়িত্বটা বেশ ভালোভাবেই পালন করেন রিয়াদ ও সাকিব। টাইগার অধিনায়ক সাকিব ৫ চার ও ১ ছক্কার মারে ২৬ বলে ৪২ এবং সহঅধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ৭ চারের মাত্র ২১ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থেকে যান।

মিরপুরে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের তালিকা

১. বাংলাদেশ : ২১১/৪, বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১৮
২. নিউজিল্যান্ড : ২০৪/৫, বনাম বাংলাদেশ, ২০১৩
৩. ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৯৭/৪, বনাম বাংলাদেশ, ২০১২
৪. শ্রীলঙ্কা : ১৯৪/৪, বনাম বাংলাদেশ, ২০১৮
৫. বাংলাদেশ : ১৯৩/৫, বনাম শ্রীলঙ্কা, ২০১৮

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের তালিকা

১. ২১৫/৫ বনাম শ্রীলংকা, ২০১৮
২. ২১১/৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১৮
৩. ১৯৩/৫ বনাম শ্রীলঙ্কা, ২০১৮
৪. ১৯০/৫ বনাম আয়ারল্যান্ড, ২০১২
৫. ১৮৯/৯ বনাম নিউজিল্যান্ড, ২০১৩