Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

seoul-tech-hubসম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার গবেষণা সংস্থা ‘টু থিংক নো’ বিশ্বের শীর্ষ উদ্ভাবনী শহর ২০১৮’-এর তালিকা প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি ২০০৭ সাল থেকে এ তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এবারের এই তালিকার শীর্ষ ৫০টি উদ্ভাবনী শহরের প্রথম নামটি জাপানের টোকিওর। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো এশিয়ার কোন শহর বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী শহরের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। তালিকায় ১২তম অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল।

সাংস্কৃতিক সম্পদ, মানবিক অবকাঠামো ও নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান- মূলত এই তিনটি সূচকের ওপর নির্ভর করে এ জরিপটি চালানো হয়। এক নজরে দেখে নিন ‘বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী শহর ২০১৮’ এর তালিকায় থাকা শীর্ষ ২০টি শহরের নাম।

chardike-ad

১) টোকিও, জাপান: ২০১৭ সালের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে স্মার্ট ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়ায় এ বছর শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে জাপানের এই শহরটি। সফটব্যাংক, হিটাচি, তোশিবা, সনি কর্পোরেশন এবং মিতসুবিশির মতো প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সদর দফতর টোকিওতে।

২) লন্ডন, যুক্তরাজ্য: এ বছর র‌্যাংকিংয়ে একধাপ পিছিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে শহরটি। বার্কলে, ট্রান্সফার ওয়েজ, বিপি, এএসওএস.কম ও মানজোর মতো বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানির সদর দফতর লন্ডনে।

৩) সিলিকন ভ্যালি, সান ফ্র্যান্সিসকো: র‌্যাংকিংয়ে এ বছর একধাপ উন্নতি হয়েছে সিলিকন ভ্যালির। এ্যাপল, গুগল, ফেসবুক, এইচপি, ইন্টেল, নেটফ্লিক্স এবং টেসলা’র মতো জনপ্রিয় সব প্রযুক্তি কোম্পানির কেন্দ্রস্থল এটি।

৪) নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: ২ ধাপ পিছিয়ে বিশ্বের উদ্ভাবনী শহরের তালিকায় এ বছর নিউইয়র্কের অবস্থান ৪। ওয়েওয়ার্ক, ভ্যারাইজন, আইবিএম ওয়াটসন এবং সিটিগ্রুপের সদর দফতর এই শহরে।

৫) লস এ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া: বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী শহর ২০১৮-এর তালিকার পঞ্চম নামটি লস এ্যাঞ্জেলেসের। র‌্যাংকিংয়ে এ বছর একধাপ উন্নতি হয়েছে শহরটির। স্ন্যাপ ইনক, স্পেসএক্স, রায়ট গেমস এবং হুলু’র সদর দফতর এখানে।

৬) সিঙ্গাপুর ঃ তালিকার ষষ্ঠ স্থানে থাকা সিঙ্গাপুরের গতবছর অবস্থান ছিল ৭। ডিবিএস ব্যাংক, সিংটেল, ক্যাপিটাল্যান্ড লিমিটেডের কেন্দ্রস্থল হলো এই শহর।

৭) বোস্টন, ম্যাসাচুসেটস: ২০১৮ সালে র‌্যাংকিংয়ে ২ ধাপ পিছিয়েছে শহরটি। জেনারেল ইলেকট্রিক, হাবস্পট, বাইন ক্যাপিটাল এবং বোস্টন ডাইনামিক্সের সদর দফতর এই শহরে।

৮) টরন্টো, কানাডা: ২০১৭ সালেও এ তালিকায় শহরটি ছিল ৮-এ। ওয়েলথসিম্পল, ইন্টারঅক্সন, ওয়াটপ্যাড, দ্য স্টারস গ্রুপের প্রধান অফিস এই শহরে।

৯) প্যারিস, ফ্রান্স: টরন্টোর মতোই এ বছর অবস্থানে কোন পরিবর্তন হয়নি প্যারিসের। প্যারিসে অরেঞ্জ কমিউনিকেশনস, ডিজার, থ্যালাস গ্রুপ এবং ডেইলিমোশনের মতো নামকরা সব প্রযুক্তি কোম্পানির সদর দফতর প্যারিসে।

১০) সিডনি, অস্ট্রেলিয়া: ২০১৮ সালে র‌্যাংকিংয়ে বেশ উন্নতি হয়েছে সিডনির। ৪ ধাপ এগিয়ে এ বছর শহরটি ১০ম স্থানে অবস্থান করছে। ক্যানভা, আটলাসিয়ান, জিপ মানি, নুইক্স’র সদর দফতর এখানে।

১১) শিকাগো, ইলিনয়: র‌্যাংকিংয়ে ৯ ধাপ এগিয়েছে ইলিনয়ের এই শহরটি। গ্রাবহাব, বোয়িং, গ্রুপন এবং মটোরোলা মোবিলিটির সদর দফতর এখানে।

১২) সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া: এ বছর র‌্যাংকিংয়ে ১ ধাপ অবনতি হয়েছে সিউলের। স্যামসাং, হুন্দাই মোটর, এলজি ইলেকট্রনিক্স এবং এসকে হোল্ডিংস’র প্রধান কার্যালয় এই শহরে।

১৩) ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থ, টেক্সাস: ৩ ধাপ উন্নতি হওয়া এই শহরে এটিএ্যান্ডটি, আমেরিকাুন এয়ারলাইন্স, টেক্সাস ইন্সট্রুুমেন্টস, এনার্জি ট্রান্সফার ইক্যুইটির সদর দফতর।

১৪) বার্লিন, জার্মানি: ২০১৮ সালে র‌্যাংকিংয়ে ৩ ধাপ উন্নতি হয়েছে শহরটির। সাউন্ড ক্লাউড, হ্যালোফ্রেশ, বাবেল এবং জাল্যান্ডো’র সদর দফর এখানে।

১৫) সিয়াটল, ওয়াশিংটন: ৬ ধাপ এগিয়ে এ বছর ১৫তম অবস্থানটি সিয়াটল’র দখলে। এই শহরে আমাজন, জিলো, কোয়ালটিক্স, রোভারের সদর দফতর অবস্থিত।

১৬) মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া ঃ এ বছর র‌্যাংকিংয়ে ৯ ধাপ উন্নতি করা মেলবোর্নে রয়েছে রেডবাবল, টেলস্ত্রা, ক্যাটাপুল স্পোর্টস এবং সিএসএল লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়।

১৭) হস্টন, টেক্সাস: র‌্যাংকিংয়ে ৫ ধাপ উন্নতি হয়েছে টেক্সাসের এই শহরটির। সিটগো, সিপিএনএল, ফ্লাইটওয়্যার ও সিসকোর সদর দফতর এখানে।

১৮) আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস: এ বছর র‌্যাংকিংয়ে ৫ ধাপ অবনতি হয়েছে শহরটির। এই শহরটিতে রয়েছে বুকিং.কম, ফিলিপস, টমটম, বিটিসির মতো কোম্পানির অফিস।

১৯) ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া: আমস্টারডামের মতোই ভিয়েনাও ২০১৮ সালে র‌্যাংকিংয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। এ বছর ৯ ধাপ অবনতি হয়েছে শহরটির। ট্যুররাডার, কমপ্যানি, ট্রিকেন্টিস-এর অফিস এখানে।

২০) আটলান্টা, জর্জিয়া: এ্যাপোটোস, ইউপিএস, ব্লুফিন, ক্রিকেট ওয়্যারলেস’র মতো প্রযুক্তি কোম্পানি এ শহর থেকেই উঠে এসেছে।