প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভুটানকে ২০ কোটি টাকার ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করেছে সরকার। গত ২৭ সেপ্টেম্বর, ৮ নভেম্বর ও সর্বশেষ ১১ ডিসেম্বর- মোট তিন কিস্তিতে মোট ২৫৮ প্রকারের বিভিন্ন ওষুধ ভুটানকে হস্তান্তর করা হয়।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে শেষ চালানটি হস্তান্তর করে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ সরকারের পাঁচ সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুল ওহাব খান ও ভুটানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সোনম দাওয়া।
বাংলাদেশের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের সহকারী পরিচালক ড. নাসের ইকবাল, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. ইয়াহইয়া, পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল, এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেডের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের ম্যানেজার রিয়াদ আরেফিন, বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (এসি) একেএম খায়রুল বাশার, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম ও লালমরিহাট ওষুধ প্রশাসনের ড্রাগ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে (১৮-২০ এপ্রিল) ভুটান সফর করেন। সফরকালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভুটান হেলথ ট্রাস্ট ফান্ডকে এক বছরের (২০১৯ সন) অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ সরবরাহের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
এর প্রেক্ষিতে ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে ব্যবহার উপযোগী তাদের প্রয়োজনীয় ৪২৯টি ওষুধের চাহিদাপত্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর প্রেরণ করেন। ওষুধ সরবরাহের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তালিকাটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়।
তালিকাপ্রাপ্তির পর ভুটানে প্রেরণের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহের নিমিত্তে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দ্রুত কার্য়কর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাথে আলোচনাপূর্বক ওষুধ সংগ্রহের উদ্যোগ নেন।
২০১৭ সালে ভুটান থেকে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে। সফরকালে ভুটানি প্রতিনিধি দলের সাথে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ও স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভুটান সরকারের চাহিদা অনুযায়ী সংগ্রকৃত ওষুধসমূহ তিন কিস্তিতে বুড়িমাড়ী স্থলবন্দর দিয়ে প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।