বাংলাদেশের নাগরিকরা এখন থেকে চীনে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পাবেন। তবে জরুরি প্রয়োজন হলেই কেবল তা মিলবে। যেমন— চিকিৎসা, ব্যবসা, আমন্ত্রণ, কোনও কিছু মেরামতের কাজ, পর্যটন ও অন্যান্য জরুরি কাজ। এক্ষেত্রে কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে ঢাকাতেই। সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলে সর্বোচ্চ ৩০ দিন থাকা যাবে এশিয়ার জনবহুল দেশটিতে।
ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, চীনে যেতে চাইলে বাংলাদেশি পর্যটকদের চীনা ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে বিমানবন্দরে গিয়ে ‘পোর্ট ভিসা’র জন্য আবেদন করতে হবে। ব্যবসা, মেরামতের কাজ কিংবা অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনের বেলায় চীনা প্রতিষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণপত্র থাকা চাই। এগুলো সরবরাহ করতে পারলে পোর্ট ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে।
পোর্ট ভিসায় ভ্রমণের শর্তে প্রতিবার ৩০ দিনের মেয়াদে প্রদান করা হয়। বিমানবন্দর বা ইমিগ্রেশনে গিয়ে নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে পোর্ট এন্ট্রি করাতে হয়। এজন্য লাগবে পাসপোর্ট আকারের ছবি ও পাসপোর্টের ফটোকপি।
গত ২৫ অক্টোবর চীনের স্টেট কাউন্সিলর অ্যান্ড মিনিস্টার অব পাবলিক সিকিউরিটি জাও কিজ বাংলাদেশে সফরে আসেন। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে তার বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চীন ভ্রমণে বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা প্রদানের অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ নভেম্বর ঢাকায় চীনের দূতাবাস থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নোট ভার্বাল পাঠানো হয়।
সৌজন্যে- বাংলা ট্রিবিউন