সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ‘বিচার ও শাস্তির দাবিতে’ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাসুমা আক্তার নামে এক নারী।
মাসুমা আক্তার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘২০১৫ সালের মে মাসে আমি একটি ফেসবুক আইডি চালু করি। যার সুবাদে আমার আইডি আমার অজান্তে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এখন আমার পাশে বিশ্বের হাজার হাজার কোটি মানুষ আমার মুক্তির অপেক্ষায় আছে।’ ‘আমার দেশের ১৬ কোটি মানুষও আমার মুক্তির অপেক্ষায় আছে। কিন্তু আমাকে বের হতে দেয় না মাশরাফি ও এই দেশের অবৈধ ক্ষমতাধারীরা।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘পুলিশের কাছে এই অভিযোগ জানাতে গেলে তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ জন্য ডিএমপি অফিসার সাঈদ ও তার সহযোগী মইনুলেরও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ তবে ওই নারী ঠিক কারণে মাশরাফির শাস্তি দাবি করছেন, সে বিষয়ে তার লিখিত বক্তব্যে স্পষ্ট করেননি।
পুলিশ বলছে, সংবাদ সম্মেলনকারী ওই নারী একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করা তার লিখিত পুরো বক্তব্যটিও অসংলগ্ন মনে হয়েছে।
পরে ওই নারীর সঙ্গে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। কী কারণে ক্রিকেটার মাশরাফির শাস্তি চাইছেন জানতে চাইলে মাসুমা আক্তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
পরে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের এসআই মহিদুল ইসলাম বলেন, ওই নারী একজন মানসিক রোগী। ‘ওই নারীর বাবা-মা ও স্বামীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারাও তার মানসিক সমস্যার কথা জানিয়েছেন।’ তিনি বলেন, গত চার দিন ধরে ওই নারী বাসা থেকে পলাতক রয়েছেন।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে লড়বেন ক্রিকেটার মাশরাফি। নির্বাচনের আগে এ ধরনের অপপ্রচারের পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এমনটা হতেও পারে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।’
এর আগে ২০১৭ সালেও মাসুমা আক্তার নামের এ নারী মাশরাফির বাসার সামনে বিভিন্ন রকম পাগলামি করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই সময় বিষয়টি নিয়ে পল্লবী থানায় একটি জিডিও করেছিলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের এ অধিনায়ক।
এ ব্যাপারে পল্লবী থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর অসংলগ্ন আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে থানায় একটি জিডি করেছিলেন মাশরাফি।
পরে এ বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান শুরু করি। মোবাইলের সূত্র ধরে ওই নারীর খোঁজে সাভার যাই। সেখানে গিয়ে তাকেসহ তার বাবা-মা ও স্বামীকে পাই। তারা জানান, তাদের মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন। চার-পাঁচ মাস আগে তালাশ টিমও এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে কিছু পায়নি বলে জানান এসআই জাহিদুল।
সৌজন্যে- যুগান্তর