অনুপ্রবেশের দায়ে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কারাগার ও ক্যাম্পে আটক থাকা বাংলাদেশিদের সুনির্দিষ্ট কোনো হিসেব নেই সরকারের কাছে। দেশটিতে আটক বেশিরভাগই বাংলাদেশিই অবৈধভাবে প্রবেশ কিংবা অবৈধভাবে থাকার কারণে আটক হয়েছেন।
এ সংক্রান্ত সংখ্যা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা কোনো সংখ্যা জানাতে পারেনি। তবে কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সিমুনিয়া, লেঙ্গিং, জুরুত, তানাহ মেরায়, মাচাম্বু, পিকে নানাস, আজিল, কেএলআইএ সেপাং ডিপো, ব্লান্তিক, বুকিত জলিল ও পুত্রাজায়া ক্যাম্পে আটক রয়েছেন ২৯৬ জন। তাদেরকে একে একে দেশে ফেরাতে তৎপরতা শুরু করেছেন দূতাবাস কর্মকর্তারা।
দূতাবাস জানায়, আটক ২৯৬ জনের মধ্যে ৪ ডিসেম্বর ৪০ জন ও ৬ ডিসেম্বর ১৮ জন ফেরত এসেছে। এ ছাড়া ১৩ ডিসেম্বর ৩১ জন বন্দী দেশে ফেরত আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজ খরচে ফিরছেন তারা। যারা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ও বিমান ভাড়া দিতে পারেনি তাদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হচ্ছে।
শুধু যাদের কেউ নেই অথবা টিকিটের ব্যবস্থা করতে একদমই অপারগ তাদের জনহিতৈষী কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতায় দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশিদের ফেরাতে গত সপ্তাহে হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম সিমুনিয়া ইমিগ্রেশন ক্যাম্প পরিদর্শণে যান। ক্যাম্প কমান্ডার ও ডেপুটি কমান্ডারের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বাংলাদেশি বন্দিদের কোন অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার বিষয়টি জানিয়ে বন্দিদের দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
এ ছাড়া বন্দিদের সঙ্গেও কথা বলেন শহীদুল ইসলাম এবং তাদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। হাইকমিশন থেকে অস্থায়ী ট্রাভেল পাশ ইস্যু করে তাদেরকে দেশে পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য বিভাগের প্রতিদিনের মেগা-থ্রি অভিযানে বাংলাদেশিসহ অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে দেশটি।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ