দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে যখন বিএনপির অনেক প্রভাবশালী নেতার কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভে ফেঁটে পড়েছেন তখন নিজের সমর্থকদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানালেন ঢাকা-৬ আসনের একাধিকবারের এমপি বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন।
তরুণ এই প্রকৌশলী ঢাকা-৬ থেকে ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেও পরে তা ছেড়ে দিতে হয়েছে বিএনপির নতুন মিত্র গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে।
শুক্রবার বিএনপির পক্ষ থেকে নেতাদের দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন তুলে দেয়ার পর থেকেই গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় এবং নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন মনোনয়ন বঞ্চিত বেশ কয়েকজন নেতাদের সমর্থকরা। এসময় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা দেয়ার ঘটনাও ঘটে। শনিবার হয়ে রবিবার অবধি চলে এই বিক্ষোভ।
রবিবার যখন বিএনপির মুন্সিগঞ্জ ও কুমিল্লার মনোনয়ন বঞ্চিত দুই নেতার সমর্থকরা গুলশানে বিক্ষোভ করছিলেন তখন সেখানে যান ইশরাক হোসেনও। এসময় তার সমর্থকরা তাকে মনোনয়ন না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্লোগান দেয়। তখন তিনি কর্মী সমর্থকদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন,আমি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছি। আমার বাবা সাদেক হোসেন খোকা ১৯৯১ সাল থেকে ২৭/২৮ বছর এই আসনটি ধরে রেখেছেন। এখন বৃহত্তর স্বার্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, আমাদের কারাবন্দি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বৃহত্তর স্বার্থের জন্য অনেক সময় ব্যক্তি স্বার্থ বলি দিতে হয়। আমি আমার ব্যক্তি স্বার্থকে বলি দিলাম।
এসময় তিনি বলেন,আমার সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথা হয়েছে। কারাগার থেকে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকেও ঢাকা-৬ এ আমাকে একমাত্র ধানের শীষের প্রার্থী করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও জোটের স্বার্থে আমাকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা মেনে নিতে হচ্ছে। সবাই শান্ত থাকুন। দলের জন্য এক হয়ে কাজ করতে হবে, ঐক্যের স্বার্থে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। ধানের শীষ প্রতীকের জন্য এক সঙ্গে কাজ করতে হবে, প্রার্থী কে এটা মুখ্য বিষয় নয়।
তিনি বলেন, এই একটি আসনের অজুহাতে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া কে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছিল। আমি বিএনপির এবং বিএনপি আমার। এইবার ছাড় দিলাম কিন্তু ধানের শীষ সারাজীবন আমার প্রতীক হয়ে থাকবে।
কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি রাজনীতিতে আছি। থাকবো। আরো সময় আছে। আপনারা কেউ বিশৃঙ্খলতা করবেন না।