ঋণ খেলাপির অভিযোগে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর টাঙ্গাইল-৪ ও ৮ আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার ইসির অস্থায়ী এজলাসে শুনানি শেষে তার মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে আদেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রমে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনে বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীর দাখিল করা মনোনয়ন বাতিল করা করেছিল রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক। পরবর্তীতে আপিলেও প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না কাদের সিদ্দিকী।
প্রসঙ্গত, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং অফিসারদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদনের শুনানি তৃতীয় অর্থাৎ শেষ দিনের মত চলছে। প্রথমদিনে ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী ১ থেকে ১৬০, দ্বিতীয় দিন ৭ ডিসেম্বর ১৬১ থেকে ৩১০ পর্যন্ত প্রার্থীর আবেদনের শুনানি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ ৩১১ ক্রমিক নম্বর থেকে ৫৪৩ পর্যন্ত আবেদনের আপিল শুনানি গ্রহণ করছে কমিশন।
প্রতিটি আবেদনের আপিল শুনানি শেষে সঙ্গে সঙ্গেই রায় জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যদি উচ্চ আদালতে কমিশনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে চান, তাহলে তাকে রায়ের নকল কপি দিয়ে দেয়া হবে।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মোট ৫৪৩ জন আপিল করেছেন। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয় এসব আপিল আবেদনের শুনানি। আজ ৮ ডিসেম্বর (শনিবার) পর্যন্ত অর্থাৎ টানা তিনদিনে এসব আপিল আবেদন শুনানি নিষ্পত্তি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাহাদাত হোসেন চৌধুরী আপিল শুনানিতে উপস্থিত আছেন।
গত ২৮ নভেম্বরের মধ্যে ৩ হাজার ৬৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। বাছাইয়ে বাদ পড়েছে ৭৮৬টি, বৈধ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র রয়েছে ২ হাজার ২৭৯টি। তফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ