Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

mashrafeeএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে খেলা এখনও পুরোপুরি ছেড়ে দেননি তিনি। এখনও আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলবেন বলে আগেই জানিয়েছেন তিনি।

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর নিজস্ব ফেসবুক পেজে দেয়া এক বিবৃতিতে মাশরাফি জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ পর্যন্ত ক্রিকেটের সঙ্গে কোনো আপস করবেন না তিনি। খেলবেন, ৯ তারিখ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজও।

chardike-ad

নির্বাচন নিয়ে ফেসবুকে নিজের বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো মিডিয়ার মুখোমুখি হননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মিডিয়ার সামনে আসতেই হবে তাকে। তখন খেলার বাইরে গিয়ে মিডিয়ার সব প্রশ্ন যদি নির্বাচন কেন্দ্রিক হয়ে যায়? এ শঙ্কা থেকে সিরিজ শুরুর তিনদিন আগে মাশরাফি মিডিয়ার মুখোমুখি হলেন।

উদ্দেশ্য নিজের রাজনীতিতে আসা, নির্বাচন এবং দেশ নিয়ে ভাবনার কথা মিডিয়ার সামনে তুলে ধরা এবং এ নিয়ে মিডিয়ার সব প্রশ্নের জবাব দেয়া। সঙ্গে আগামী দিনে নিজেকে কিভাবে ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখবেন- সে কথাও জানিয়েছেন মাশরাফি। তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলনেই ঘিরে ধরা সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মাশরাফি।

এমন একটি সংবাদ সম্মেলন একেবারেই নতুন মাশরাফির জন্য। ১৮-১৯ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে শতবার, হাজারবার মিডিয়ার মুখোমুখি হয়েছেন, কথা বলেছেন, সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই প্রথম নিজস্ব গতানুগতার বাইরে গিয়ে কথা বলতে হয়েছে, রাজনীতি, নির্বাচন এবং দেশ নিয়ে।

এটা মাশরাফির জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা। নতুন অভিজ্ঞতা যারা মাশরাফির সামনে সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন তাদের জন্যও। কারণ, এই সাংবাদিকদের হয়তো বা কারও কারও এই প্রথম খেলাধুলার বাইরে গিয়ে এমন একটি রাজনীতি সংশ্লিষ্ট সংবাদ সম্মেলন করতে হয়েছে।

এই সংবাদ সম্মেলনে রাজনীতি, নির্বাচন এবং ক্রিকেট নিয়ে মাশরাফির কথা, চিন্তা-ভাবনাগুলো সংকলিত করে প্রশ্নোত্তরে তুলে ধরা হলো পাঠকদের সামনে…

প্রশ্ন: মনোনয়ন পাওয়ার পর আজই প্রথম সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন। মনোনয়ন নিয়ে কিছু বলেন। আপনার আশা নিয়ে। আসলে আপনি কেমন করবেন? সব কিছু নিয়ে যদি বলতেন!

মাশরাফি: খেলার আগে এই নিয়ে আপনাদের সাথে আর কোন প্রশ্ন না হোক, এ জন্য যেটা করার এখনই করে ফেলা আর কি।

প্রশ্ন: নির্বাচনে অংশগ্রহণের, প্রতিটা সিরিজের আগে খেলার প্রতি আপনার ফোকাসটা সাধারণত যেমন থাকে, আপনার কি মনে হয় যে সেই ফোকাসটা এবার রাখা সম্ভব বা কোনো কারণে এটা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না?

মাশরাফি: আমার কাছে একদমই না। আমার মাইন্ড সেটআপে একদমই না। আমি ওইখানের সাথে (নির্বাচন এবং রাজনীতি) এখনও পুরোপুরি জড়িত না। পুরোপুরি অনুশীলনে আমার মন আছে। অবশ্যই ১৪ তারিখের পর আমি ওখানে (নির্বাচনে) কনসেনট্রেশন (মনযোগ) করবো। ওখানে (নির্বাচনে) যা করার ১৪ তারিখের পর…। এরআগে ১৪ তারিখ পর্যন্ত আমিার পুরোপুরি কনসেনট্রেশন খেলায় রাখবো।

প্রশ্ন: নির্বাচনের সিদ্ধান্তটা আপনি কেন নিলেন? গত ৫ বছরে আওয়ামীলীগ সরকার ক্রিকেটের জন্য এমন কি কি কাজ করেছে যে, যেটা দেখে আপনি নির্বাচনের জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

মাশরাফি: প্রথমত ধরেন, আমি যদি বিশ্বকাপ পর্যন্ত থাকি, আমি যেটা চিন্তা করেছি…, আর সাত থেকে আট মাস বাকি আছে। বিশ্বকাপের পর আমার ক্যারিয়ার যদি শেষ হয়, পরের সাড়ে চার বছরে আমি জানি যে আমার কি অবস্থান থাকবে। আর আমার একটা সুযোগ আসছে, যেটা আমি উপভোগ করি সবসময়, মানুষের সেবা করার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটা সুযোগ দিয়েছেন আমার এলাকার জন্য কিছু কাজ করার। আপনারা জানেন যে, আমার একটা ফাউন্ডেশন আছে। আমার মনে হয়েছে যে, এটা আমার জন্য বড় সৌভাগ্য, তাদের জন্য কাজ করার। স্রেফ এখান থেকেই মনে হয়েছে, হয়তো সাড়ে আট মাস-নয় মাস পর তো আবার জাতীয় নির্বাচন হবে না! ক্রিকেট না, অন্য খেলাধুলায়ও যদি বলেন যে- বিশেষ করে ক্রিকেটে আমাদের জন্য পারফরর্মেন্সটা সবার আগে। বাংলাদেশ ক্রিকেট সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কি না, সেটা অবশ্যই আপনারা জানেন যে বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো দল। সুযোগ-সুবিধাও আগের চেয়ে অনেক বেশি আছে। আমি আশা করি, ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ সামনে আরও এগিয়ে যাবে।

প্রশ্ন: আপনি যেমনটা বলেছেন বিশ্বকাপই হয়তো আপনার শেষ টুর্নামেন্ট। সে হিসেবে ঘরের মাঠে এ সিরিজটাই আপনার শেষ সিরিজ এবং সিরিজের শেষ ম্যাচেই হয়তো ঘরের মাঠে আপনি শেষ খেলে ফেলবেন। সুতরাং, এ সিরিজটা আপনার কাছে কতটা বিশেষ? একই সঙ্গে ঘরের মাঠে শেষ ওয়ানডে সিরিজ এবং ম্যাচ- এই আলোচনাটা নির্বাচনের কারণে অনেকটুকু সরে গেছে। বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখেন?

মাশরাফি: প্রথমত আমি বলেছি, আমার মাইন্ড সেটআপ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছিল এবং আছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগ পর্যন্ত মনে হচ্ছিল যে, আমি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর খেলতে পারবো কিনা জানি না। এরপরও আমার ফিটনেস বা পারফর্মেন্স মোটামুটি চলছিল বলে আমি ঊনিশ পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে এসেছি। সেটাই বলছি, আমার বিশ্বকাপ পর্যন্ত মাইন্ড সেটআপ তৈরি করা আছে। এরপর হয়তো বিষয়টা রিভিউ করার সুযোগ আছে। আমি যদি সেই অবস্থায় না থাকি তাহলে অবশ্যই আমাকে কুইট করতে হবে। যদি ভালো অবস্থায় থাকি তাহলে অবশ্যই আমি নিজেকে চেষ্টা করবো আরও ধরে রাখার। যদি ক্রিকেটে থাকি, তাহলে অবশ্যই আমি চেষ্টা করবো এভাবে এগিয়ে যেতে। তার আগেও যে কোন কিছু হতে পারে। ২০১১ বিশ্বকাপের পর থেকে যদি আপনি তাকান, তাহলে আপনাদের এখানেই ৫০ ভাগ মানুষ বিশ্বাস করেছিল যে, হয়তো বা আমার ক্যারিয়ার শেষ। আল্লার রহমতে আরও সাত বছর তো এগিয়ে আসতে পেরেছি। এমনকি ওইখানে আমার ফ্যামিলির সবাইও ভেবেছিল, আমি পারবো কিনা। যেভাবেই হোক পেরেছি।

প্রশ্ন: এই সিরিজটা তো আপনার দেশের মাটিতে শেষ সিরিজ। এটাকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

মাশরাফি: আমার কাছে এ নির্বাচনে আসার আগেও প্রত্যোকটা সিরিজ যেমন ছিল এই সিরিজটাও (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ) সে রকম। আমার শেষ আর শুরুতে কিছু যায় আসবে না। আমি ভাবিওনি কোনোদিন, ভাববোও না। তবে অবশ্যই সিরিজটা জিততে চাই আমরা। আমার চোখে ঠিক আট দশটা সিরিজ আগে যেভাবে খেলছি, এটাও সেভাবো খেলবো।

প্রশ্ন: চ্যালেঞ্জটা কেমন ছিল যে, ক্রিকেটের বাইরে অনেক পলিটিক্যাল মানুষজনের সাথে ঘুরছেন, চলেছেন?

মাশরাফি: না এখনও ঘোরার সুযোগ পাইনি। যাওয়ারও সুযোগ হয়নি। যেটা বললাম যে, এই সিরিজের জন্য এখনও আমি যেতে পারিনি। সিরিজটা খেলার পর যাবো। এখন তো ধরেন, নড়াইলের মানুষজনের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে। এখনও আমি যেতে পারিনি। যাওয়ার পর হয়তো আমার যে কাজ গুলো আছে সেগুলো করতে পারবো।

প্রশ্ন: আপনি তো একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতিতে আসছেন? নির্বাচনেও নিশ্চয় কিছু ভেবে এসেছেন। রাজনীতিতেও অবশ্যই কিছু ভেবে, নির্বাচনেও কিছু ভেবে এসেছেন। এই ভাবনাগুলো কি ছিল আপনার?

মাশরাফি: এটা আগেও বললাম যে, আমার ক্যারিয়ার অবশ্যই শেষের দিকে। না আমি শচীন টেন্ডুলকার না আমি ম্যাকগ্রা, যে আমার কথা মানুষ স্মরণ রাখবে! আমি আমার মত করেই ক্রিকেটটা খেলেছি। আমার স্ট্রাগলিং লাইফে যতটুক পেরেছি, খেলেছি। তবে আমি সব সময় উপভোগ করেছি মানুষের জন্য কাজ করতে পারা। এটা আমার ছোটবেলার শখ ছিল বলতে পারেন। ছোটবেলার চাওয়া-পাওয়া ছিল। যেই সুযোগটা আমি বললাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দিয়েছেন। সে কারণেই বৃহৎ পরিসরে যদি কিছু করা যায়, সে জন্যই নির্বাচনে আসা।

প্রশ্ন: মাশরাফি বিন মর্তুজা ক্যারেকটারটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য অনেক বড়। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে তো অনেকগুলো রাজনৈতিক দল আছে। তাদেরও বক্তব্য আছে আপনার প্রতি। এটা কি আপনার মনোকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাদের মন্তব্যগুলো শুনে?

মাশরাফি: আমি সব সময় বিশ্বাস করি যে, আপনার নিজের পারসোনালিটি থাক উচিত। আপনি যদি কোনো দলকে সমর্থন করেন, তাহলে অবশ্যই সেটা প্রকাশ্যে বলা উচিত। এমন অনেকেই আছেন, যারা সাপোর্ট করে কিন্তু বলতে পারে না। আমার কাছে মনে হয়, প্রত্যেকে যে যার দল করে তার সম্মানটা থাকা উচিত এবং তার মতো করে দেশের জন্য কাজ করবে, এই মানসিকতা থাকা উচিত। সুতরাং, যারা মন্তব্য করছে বা করবে, তারা তো আর আমার নিয়ন্ত্রণে নাই বা তাদের তো আমি কিছু বলতে পারবো না। তবে আমার শ্রদ্ধা অবশ্যই তাদের ওপর আছে।

প্রশ্ন: তিন দিন পরে আমাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ। আপনি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। সিরিজের তিনদিন আগে আপনি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। এখানে ১০টা প্রশ্ন যদি করি ৯টাই হচ্ছে রাজনীতি নিয়ে। আপনার কি মনে হচ্ছে যে আপনি পুরোপুরি ক্রিকেটে আছেন?

মাশরাফি: এ জন্যই (রাজনীতি নিয়ে) আমি আজ প্রেস কনফারেন্সে আসছি, যাতে পোস্ট ম্যাচে যখন আমি যাব, সেখানে কেউ যেন এটা (রাজনীতি) নিয়ে আর প্রশ্ন না করেন। এ কারণেই আজ এখানে আসছি যে, এ বিষয়টা এখানেই শেষ হয়ে যাক। না হলে, ম্যাচের আগের দিন যদি প্রেস কনফারেন্স করতাম এই প্রশ্নগুলো তখন হতো। আমি ব্যক্তিগভাবে মনে করেছি আপনাদের মনে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে এখনি সেগুলোর মুখোমুখি হওয়া উচিত।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে এই সংবাদ সম্মেলনে এলেন নাকি ব্যক্তিগতভাবে এলেন?

মাশরাফি: আমি ব্যক্তিগতভাবেই এসেছি। কালকে রাবিদ ভাইয়ের (বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার) সঙ্গে আলাপ করেছি, যে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে। উত্তরগুলো দেওয়া উচিত, আমার কাছে মনে হয়। আজ হোক কাল হোক আমার তো এগুলোর মুখোমুখি হতেই হবে। খেলার মধ্যে যাতে এই প্রশ্নগুলো না হয় সে জন্যই আমার এই সংবাদ সম্মেলনে আসা।

প্রশ্ন: আপনি বলেছেন যে, বিশ্বকাপের পরও খেলবেন কিনা সেটা রিভিউ করবেন। যদি আপনি সংসদ সদস্য হয়েই যান, তাহলে আপনি কি মনে করেন যে, আর খেলাটা চালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে কি না?

মাশরাফি: এটাই বলছিলাম যে, প্রথমত আমার লক্ষ্য কিন্তু বিশ্বকাপ পর্যন্তই আছে। বিশ্বকাপ পর্যন্ত আট মাসের ব্যাপার। সুতরাং, আট মাস পর্যন্ত যেভাবে খেলে আসছি সেভাবেই খেলার চেষ্টা করব। আমি আগেও বলেছি যে আমার পারসোনাল লক্ষ্যই ছিল বিশ্বকাপ। এরপর বলেছি যে, বিশ্বকাপের পর সেটা রিভিউ করার অবস্থায় থাকবে কিনা, সেটা সে সময়ই বলে দেবে।

প্রশ্ন: এতদিন ছিলেন পুরো দেশের মাশরাফি। এখন স্বাভাবিকভাবেই একটা দলের হয়ে রাজনীতিতে আসছেন, অর্ধেক হোক বা ৩০ কিংবা ৪০ ভাগ লোক আপনার বিপক্ষে চলে যাবে, যারা এতদিন মাশরাফিকে সমর্থন করতো, তারা এখন সমর্থন করবে না। এ বিষয়টা আপনি কিভাবে দেখেন?

মাশরাফি: এটা অবশ্য খুবই স্বাভাবিক। তবে উদ্দেশ্য যেটা আমার পরিস্কার, যে আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। যদি সুযোগ পাই কাজ করব। আর আগেও বললাম, আমি বিশ্ব ক্রিকেটে আমি এমন কোন সুপারস্টার না যে আট মাস পরে আমি যখন খেলা ছেড়ে দিব তখন জনেজনে মানুষ আমাকে স্মরণ করবে।

প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু যেমন মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সে স্বপ্ন নিয়েই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আপনি তরুণ প্রজন্মের একজন প্রতিনিধি হয়ে রাজনীতিতে আসছেন। আপনি আসলে বাংলাদেশের তরুণদের কি স্বপ্ন দিতে চান? আরেকটা বিষয় হচ্ছে আপনিই প্রথম নন, এ রকম তরুণ অনেকেই এসেছিলেন আমাদের রাজনীতিতে। কিন্তু অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখিয়ে, অনেক বড় বড় কথা শুনিয়ে রাজনীতিতে আসার পর গতানুগতিক রাজনীতিতে গা ভাসিয়েছেন তারা। আপনি কতটা আত্মবিশ্বাসী যে, গতানুগতিক রাজনীতিতে গা ভাসাবেন না?

মাশরাফি: দেখেন আমি এজন্য আসলে আপনাদের স্বপ্ন দেখাতে আসিনি এখানে। যদি গতানুগতিক হয়ে থাকে, তাহলে গতানুগতিক কথা আমি বলতেও চাই না। এমন কোনো কথা বলতে চাই না যে, যেটা হয়তো বা কালকে আপনি মিলাতে পারবেন না। আমার কাছে মনে হয় যে, সেই সুযোগটা যদি আমার আসে, এখনি চিন্তা করার সুযোগ নাই যে আমি নির্বাচিত হয়ে গেছি, নির্বাচিত হওয়ার পর যদি সেই সুযোগটা আসে, তখন চেষ্টা করবো। ওই সময় আপনাদের যদি মনে চায় যে আমার কাজগুলো রিভিউ করবেন, তখন প্রশ্ন করবেন। এখন আসলে বলা কঠিন।

প্রশ্ন: মাশরাফি নড়াইলের অর্থ্যাৎ আপনার এলাকার মানুষের সমর্থনটা কেমন পাচ্ছেন? কিংবা তিক্ত কোনো অভিজ্ঞতা হয়েছে কি না?

মাশরাফি : সাপোর্ট আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছে। যতটুকু কথা হয়েছে, বলেছি, সবাই সাপোর্ট করছে। আমি পারসোনালি এখনও সেখানে যেতে পারিনি। সুতরাং, টোটালি বলাটা কঠিন। খেলার পরে গেলে বুঝতে পারব।

প্রশ্ন: রাজনীতিতে আসার বিষয়ে বিসিবির বক্তব্য কি? এ নিয়ে বিসিবি প্রধান কিংবা বিসিবি পরিচালকদের কারও সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে কিংবা টিমমেটদের কোনো মন্তব্য আছে কি না আপনার রাজনীতিতে আসা নিয়ে?

মাশরাফি: না এখনও এ নিয়ে কারো সঙ্গে ইন্ডিভিজ্যুয়ালি কোনো আলাপ হয়নি।

প্রশ্ন: আমরা যখন কারও স্টেটমেন্ট নিই কিংবা আমরা যখন কোনো পাবলিক ওপিনিয়ন (মতামত) নিতে যাই, তখন কমন একটা বিষয় থাকে, একটা প্রশ্ন আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেখি এবং বাইরেও আলোচনা হয়, সব জায়গায় একটা প্রশ্ন তোলা হয়, আপনি কোটা আন্দোলন কিংবা ছাত্রদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন যখন হয়েছিল, একটা ক্রাইসিস সৃষ্টি হয়েছিল দেশে, ওই সময় কিন্তু আপনি দেশ নিয়ে কোনো কথা বলেননি বা চুপ থেকেছেন। এখন আপনি দেশ নিয়ে কথা বলছেন বা দেশের জন্য কাজ করতে চাইছেন। তাদের জন্য কি কোনো জবাব আছে কি না?

মাশরাফি: না, আমি তখন প্রথমত কোটা আন্দোলন নিয়ে যেটা হয়েছে, এত গভীর রাজনীতি আমি কখনও করিওনি, জানিও না, বুঝিও না। যেটা আগেও পরিস্কারভাবে আমি বললাম যে, আমার উদ্দেশ খুব সিম্পল, যেটা মানুষের জন্য করে শান্তি পাই। টাচ পাই। ততটুকুই করার। আর আপনি যদি আমাকে ডিপ লেভেলের পলিটিশিয়ান ভাবেন, সেটা আমি এখনো হয়তবা না বা আমি এখনও হইনি। সুতরাং, আমাকে ওই পর্যায়ে ভাবলে সেটাও আমার প্রতি অবিচার হবে। কারণ, এখানে আমার অভিজ্ঞতাটা একদমই নতুন। তবে হ্যাঁ, আমি যেটা বলেছি, আমি অবশ্যই ভাল কাজ করতে চাই। সেটা হয়তো বা সামনে দেখা যাবে, আমি ততটুকু করতে পারি কি না।

প্রশ্ন: ক্রিকেটার মাশরাফি এবং অধিনায়ক মাশরাফি নড়াইলবাসীর জন্য কাজ করতে চায়। দেশের ক্রিকেটের জন্য মাশরাফির ভবিষ্যৎ লক্ষ্য কি? আপনি রাজনীতে আসছেন, ইলেকশন করছেন, নিশ্চয় আপনার একটা ভাবনা আছে। দেশের ক্রিকেটের জন্য এতদিন আপনার ভাবনা একরকম ছিল, এখন তাতে নতুনত্ব আসছে কি না, আসলে সেটা কি? এবং আপনি আসলে দেশের ক্রিকেট নিয়ে কি ভাবছেন?

মাশরাফি: দেশের ক্রিকেটের কথা যেটা বললাম, আলহামুদুল্লিহা ভালই যাচ্ছে। আরও বড় পরিসরে বলতে গেলে, হয়তো বা টেস্ট ক্রিকেটকে আরও ইমপ্রুভ করা লাগবে। আরও অনেক কিছু আছে। তার জন্য হয়তো বা যারা এখন ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা করছেন, উনারা খুব ভালো জানেন, কিভাবে করতে হবে। আমি ওখানে নাই। সুতরাং, এখনও আমি ক্লিয়ারলি বলতে পারেন। আমার অবস্থান থেকে যতটুকু সাপোর্ট দেয়ার দরকার অবশ্যই আমি দেব। আমি একজন খেলোয়াড়, আমার সমর্থনটা অবশ্যই দেয়ার চেষ্টা করবো।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে একটা নিয়মই হয়ে গেছে যেন, যে বোর্ডে সব সময়ই ক্ষমতাসীন দলের দু’তিনজন সাংসদ থাকেন। মোটামুটি ধরেই নেয়া যায় যে একেবারে ৯০ এর দশক থেকে সরকারের কোনো মন্ত্রী বা প্রভাবশালী সাংসদই হন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। এই যে চেইনটা, আপনি নিজে বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় আসতে চান কি না? আপনি যেহেতু বললেন যে, আপনি হয়তো ৭-৮ মাস পর আর ক্রিকেট খেলবেন না।

মাশরাফি: দেখেন প্রথমত আগেই বললাম যে, সামনে কি হবে আমি জানি না। প্রথমে তো নির্বাচন হলে এরপর নির্বাচনে জিততে হবে। এরপর অনেক ব্যাপার-স্যাপার আছে। সো এখনও তো ওই পর্যায়টা পার না হয়ে কিছুই বলা যায় না। তবে হ্যাঁ, ক্রিকেটে যদি আমার কিছু করার সুযোগ থাকে অবশ্যই আমি করতে চাইবো।

প্রশ্ন: আপনি দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চান? তো সেটা তো আপনি এমনিই করছিলেন নড়াইল ফাউন্ডেশন দিয়ে। তাহলে আপনার কেন মনে হয়েছে যে, শুধুমাত্র দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে হলে রাজনীতিতেই আপনাকে যোগ দিতে হবে? তাহলে তো বাংলাদেশের ষোলকোটি মানুষেরই রাজনীতি করা উচিত।

মাশরাফি: তাহলে এবার আপনাকে আমি কথা বলি যে, আপনি আমার ফাউন্ডেশনে কি কি কাজ হয়েছে বলতে পারবেন? – হ্যাঁ, রাস্তা তৈরি করেছেন…, আপনি হাসতাপাল তৈরির প্ল্যান করছেন…, আপনি পানির ব্যবস্থা করেছেন…।

একটাও কিন্তু ঠিক হয়নি। আমি রাস্তা কিন্তু করতে পারিনি। আপনাদের কাছে সব কিছু ক্লিয়ার না কিন্তু। আমি ফাউন্ডেশন করে যেটা বুঝেছি, অনেক কিছুই কাজ করেছি, এটা সত্যি কথা। কিন্তু মানুষ জানে না, এমনকি নড়াইলের মানুষও অনেক কিছুই জানে না। যেটা বললাম যে, হ্যাঁ অনেক কিছুই করার চেষ্টা করেছি। আমার জায়গা থেকে যতটুকু করতে পারতাম, যতটুকু চেষ্টা করেছি। যে সুযোগটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, যে আরেকটু বড় পরিসরে করার। সেটাই।

প্রশ্ন: সাংসদ হিসেবে আপনার লক্ষ্য এলাকার উন্নয়ন করা নাকি সংসদে আইন প্রণয়নও করা?

মাশরাফি: আসলে সংসদে আইন প্রণয়নই তো হয় তো জানি। আমি তো দেখেছি এই পর্যায় থেকেও অনেক হেল্প আসে। সরকারীভাবেও অনেক সহযোগিতা আসে। এখান থেকে যাওয়ার পর সেগুলো বন্টনেরও একটা ব্যাপার থাকে। আমি চেষ্টা করব এই জিনিসগুলো ঠিকমতো করার।

প্রশ্ন: আপনি বললেন যে আপনাকে জিততে হবে এবং ক্ষমতায় আসতে হবে দলকে। সেটা যদি আসে তো আপনার জন্য কাজটা সহজ। কিন্তু দল যদি না জেতে, তাহলে আপনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি? আপনি কি রাজনীতি চালিয়ে যাবেন নাকি। কি হবে আসলে? বাস্তবতা তো অনেক কঠিন। আবার বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, সেখানে প্রতিহিংসার রাজনীতি কিন্তু অনেক বেশি। সে জায়গায় থেকে আপনার দল যদি ক্ষমতায় না আসে, আপনি যদি বিরোধী দলে যান, এখন যদি তাকান যে কি অবস্থা হয়- মামলা, হামলা, দমন-পীড়ন অনেক কিছু হতে পারে। সেই চিন্তা আপনার মাথায় আছে কি না।

মাশরাফি: হতে পারে। আমি বললাম তো, কালকে আপনার জীবনে কী ঘটবে আপনি জানেন না। সুতরাং, আমার জীবনে কাল কী ঘটবে সেটাও আমি জানি না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি ক্লিয়ার মাইন্ড নিয়ে যাচ্ছি কিনা। আমি শুধু আমাকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এর বাইরে আমি কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না। সুতরাং, আমি পুরোপুরি ক্লিয়ার মাইন্ডে আছি এবং এতটুকু শুধু ভাবছি। সামনে কি হবে, এতকিছু হয়তো নাও হতে পারে। যেটা বললাম যে, কালকে আমার সাথে কী হবে সেটা জানি না। সুতরাং, এতকিছু ভাবার সুযোগ এখন নাই।

প্রশ্ন: তাহলে টেস্ট থেকে আনুষ্ঠানিক অবসর কখন?

মাশরাফি: দেখা যাক, আমি তো দশটা কাজ তো একসাথে করব না। আর টেস্টের ব্যাপারে যদি মনে হয়, তাহলে এমনিই বলে (অবসর) দেব। আর টেস্ট তো আট বছর ধরে খেলছি না।

প্রশ্ন: পরিবারে যখন প্রথম রাজনীতির বিষয়টা জানালেন, তখন পরিবার বা কোথাও থেকে এমন কোনো রিঅ্যাকশন এসেছে যে, রাজনীতি করবা? কোনো বাধা ছিল কি না কিংবা এমন কোনো শঙ্কা ছিল কি না যে, আপনি রাজনীতিতে যাচ্ছেন। কি না কি হয়?

মাশরাফি: খুব স্বাভাবিক। ধরেন, পারিবারিকভাবে জানার পর এটা একটা নতুন জিনিস তাদের জন্য। তাদের জন্যও মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে, আমারও লাগবে। এটাই স্বাভাবিক। হয়তো বা ওইভাবে রাজনীতি আমার বাসায় কেউ করেনি। এটাও সত্যি কথা। এটা পুরো পরিবারের জন্যই নতুন কিছু। তো কিছুটা সময় তো তাদেরও লাগবে মানিয়ে নিতে।

প্রশ্ন: বাসায় কীভাবে মানালেন তাহলে, স্ত্রী-পরিবারের অন্য সদস্য?

মাশরাফি: মানামানির (হাসি) এমন কিছু নাই! সবাইকে যেটা বললাম যে, অ্যাডজাস্ট করতে হবে।

প্রশ্ন: মাশরাফি আপনি তরুণদের আইকন এই দেশের। এখন এই রাজনীতি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ। তাহলে তরুণদের প্রতি আপনার মেসেজটা কি?

মাশরাফি: এইমাত্র আমি যেটা বললাম যে, একমাত্র আমি আমার নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করি। আমার নিজেকে ঠিক জায়গায় নিতে পারি কি না, সেটা আমি দেখি। যদি পারি, তাহলে তখন কিছু বলার থাকবে। ২০০১ সালে যখন ডেব্যু হয় আমি তরুণদের আইকন ছিলাম না। আমি শুধু আমার কাজটা মন দিয়ে করে গেছি, তারপর এ অবস্থানে দাঁড়িয়েছি। হয়তো বা আমি আমার কাজটা মন দিয়ে করবো। যদি ওখানে নির্বাচিত হই, তারপরে দেখা যাক কি হয়!

প্রশ্ন: আপনার যে প্রতিপক্ষ, তিনিও তো এলাকার উন্নয়ন করতে চান। আপনি তার চেয়ে ভালো কিভাবে? আপনি তো এলাকায় ভোট চাইতে যাবেন এবং তখন এ বিষয়টা আপনাকে বলতে হবে মানুষের কাছে।

মাশরাফি: আমি তো সেটা একবারও বলিনি যে, আমি আপনার চেয়ে বেটার। অবশ্যই তাকে (প্রতিপক্ষ প্রার্থী) আমি সম্মান করি। তাকে অসম্মান করে আমি কীভাবে বলব যে, ওনার চেয়ে আমি বেটার। সেটা অবশ্যই আমি বলব না। এ অবস্থায় আমি নিশ্চয় যাব না। অবশ্যই চাই, আমি আমার মতো করেই বলবো। কিন্তু আরেকজনকে ছোট করে আমি বড় হতে যাবো, সেই সুযোগ তো অবশ্যই নাই। দেখুন, আমি একজন স্পোর্টসম্যান। ওখানেও এই মানসিকতার কিছুটা থাকতে হবে। ওখানে গিয়ে আমি তাকে বলতে পারব না, ওনার চেয়ে আমি ভালো। সুতরাং, আপনারা আমাকে ভোটটা দেন, সেই সুযোগ আমার নাই।

প্রশ্ন: তাহলে ভোট কেন দেবে? আপনি যখন একটি দলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন। যেতা আপনি চাচ্ছেন ওখানে জিতে আপনার এলাকার মানুষের জন্য কাজ করবেন । তো তারা আপনাকে ভোট কেন দেবে? তাদের প্রতি আপনার নিশ্চই কোনো মেসেজ আছে?

মাশরাফি: দেখুন, ভোট তো সবার একটা একটা করে। আমার ভোটও একটা, আরেকজনেরও ভোটও একটা। যিনি ভোট দেবেন, ওনার কাছে যদি মনে হয় আমার গ্রহণযোগ্যতা আছে তাহলে আমাকে ভোট দেবেন। আমার যতটুকু করণীয় আছে, সেটা আমি করব। বাদবাকি উনার ব্যাপার যে, উনি আমাকে পার্সোনালি সমর্থন দেবে কি দেবে না। সেটার নিয়ন্ত্রণ আমার কাছে নাই। আমি আমার মেসেজটা হয়তো বা দিতে পারি। কিন্তু ভোট তো দিবে পার্সোনালি সেই মানুষটা। তবে সেই মেসেজটা এখন বলা নিষেধ।

প্রশ্ন: ক্রিকেটার মাশরাফি একটা আদর্শ ছিল। রাজনীনিতে মাশরাফি আরেকটা আদর্শ হবেন। রাজনীতিতে মাশরাফির আদর্শটা কি থাকবে?

মাশরাফি: আমি এখনো আদর্শ তো হইনি। আমি কাজ করার পর দেখব যে আসলে কি হয়। আপনারাও দেখবেন। যদি ভালো কাজ করতে পারি তাহলে একটা ভালো প্রভাব পড়তে পারে। সুতরাং, আমি সেটাই চেষ্টা করবো দিতে।

প্রশ্ন: দুর্জয় ভাই, পাপন ভাইরা তো আগে নির্বাচন করেছেন। তাদের কাছ থেকে কোনো টিপস নিয়েছেন কি না?

মাশরাফি: এখনো আসলে পুরোপুরি খেলায় আছি। যাওয়ার সুযোগ হয়নি।

প্রশ্ন: যে কোনো সিরিজ খেলার আগে আপনার জন্য প্র্যাকটিসটা একটা কমন ব্যাপার ছিল। এবার প্রথম নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। তো সেটার জন্য আপনার প্র্যাকটিসটা কেমন হলো?

মাশরাফি: না, আমি কোনো প্র্যাকটিস করিনি এখনও। আমি এখনো পুরোপুরি খেলায় আছি। আমার একটা শক্তি আছে, যখন যে কাজটা করি সেটা মন দিয়ে করতে পারি। এটাই আমার শক্তি। আমি এখন খেলা নিয়ে ভাবছি। খেলা শেষ করে আমি যখন যাব, তখন সেখানে (রাজনীতি) পুরোপুরি মন দেব।

প্রশ্ন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটা কেমন হবে?

মাশরাফি: দেখেন, ফরম্যাট যত ছোট হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তত ভালো দল। অবশ্যই ভালো একটা কম্পিটিশন হবে, আশা করছি। টেস্ট সিরিজ জেতার পর প্লেয়াররা ভালো অবস্থায় আছে, ওটা ইউজ করতে পারলে ভালো হবে।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ