বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্লেন ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’। শনিবার (০১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে ‘আকাশবীণার’ পর দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ এই প্লেনটি। যদিও এটি ওইদিন বিকেল ৪টায়ই দেশে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা দেরিতে প্লেনটি দেশের মাটিতে নামে।
বিমানের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে এভারেট থেকে শনিবার (০১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় উড্ডয়ন করে এই আকাশযান। তার আগে লাল ফিতা কেটে নতুন ড্রিমলাইনারের যাত্রার উদ্বোধন হয়। এর মধ্য দিয়ে বিমানবহরে প্লেনের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫টি।
হংসবলাকার এই বিজি-২১১২ ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন চার পাইলট স্মল স্কি, মো. আমিনুল, শোয়েব চৌধুরী ও ফার্স্ট অফিসার আনিতা রহমান। বিরতিহীনভাবে ১৫ ঘণ্টা চালিয়ে এই ড্রিমলাইনার নিয়ে এসেছেন তারা। এছাড়া ফ্লাইট পার্সার শবনম কাদিরসহ এতে কেবিন ক্রু হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন পাঁচজন।
সিয়াটলের এভারেটে মার্কিন প্লেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং গত ২৯ নভেম্বর সকালে বিমান কর্তৃপক্ষকে চাবি দিয়ে হংসবলাকার মালিকানা হস্তান্তর করে। বিমান এয়ারলাইন্সের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল এটি বুঝে নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বোয়িং পরিচালক (ডেলিভারি কন্ট্রাক্ট) জন বর্বার ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া) এহসান রাজপুত।
বিমান এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন প্লেন কেনার জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে। ইতোমধ্যে এ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হয়েছে ছয়টি প্লেন। বাকি ছিল চারটি। তা হলো বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। এর মধ্যে ‘আকাশবীণা’ গত ১৯ আগস্ট দেশে আসে। আর এখন আসলো ‘হংসবলাকা’। এই চারটি ড্রিমলাইনার প্লেনের নাম পছন্দ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা ‘আকাশবীণা’ ও ‘হংসবলাকা’ ছাড়া দুইটি ‘গাঙচিল’ এবং ‘রাজহংস’। বাকি এই দুইটি প্লেনও পর্যায়ক্রমে দেশে আসবে।
এ ড্রিমলাইনারে আসন সংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। আর বিজনেস ক্লাসের ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক বিশ্রামের জন্য সহায়ক হবে।
সৌজন্যে- বাংলানিউজ