দুই ইনিংসে একাই নিলেন ১২ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৫৮ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয় ইনিংসে ধ্বস নামিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসেও তার ঝুলিতে ৫ উইকেট। মিরাজের ঘূর্ণি ফাঁদে জড়িয়ে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের আত্মাহুতির দৃশ্যই ছিল এই ঢাকা টেস্টের সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর।
প্রথম ইনিংসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৩৬ রান করে বাংলাদেশকে ৫০৮ রানের চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন সত্য। কিন্তু এই টেস্ট জয়ে মেহেদী মিরাজের ঘূর্ণি বোলিংই ছিল সবচেয়ে কার্যকরী। যে কারণে তার হাতেই যে ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠবে তাতে কোনো সন্দেহ ছিল না। বিচারকদের দৃষ্টিতে চোখ বন্ধ করে ম্যাচের সেরা মিরাজ।
কিন্তু প্রশ্ন ছিল সিরিজ সেরা কে হবেন তা নিয়ে। সাকিব আল হাসানের সামনে একটা হাতছানি ছিল। বাংলাদেশের তিনটি হোয়াইটওয়াশ করা সিরিজের মধ্যে আগের দুটিতেই সিরিজ সেরা ছিলেন সাকিব। তৃতীয়টেও যদি তিনি সিরিজ সেরা হতে পারেন তাহলে সেটা হবে অনন্য কৃতিত্ব।
প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করে মুমিনুল হকই হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা। ওই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৩ রান করার সঙ্গে দুই ইনিংস মিলে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। দ্বিতীয় টেস্টে এক ইনিংসে ব্যাট করে সাকিব করেছিলেন ৮০ রান। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসেও ১ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব।
মোট ৯ উইকেটের সঙ্গে ১২৪ রান করে সিরিজের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সাকিব আল হাসানই। বাংলাদেশের ৩টি হোয়াইটওয়াশ গৌরবের সঙ্গে জড়িয়ে গেলো সাকিবের নাম। তিনটি সিরিজেই সেরা নির্বাচিতি হলেন তিনি।