টাকার বিনিময়ে স্বপ্ন কেনা যায়? অনেকের মানতে রাজি না হলেও কঠোর বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে এ কথা অস্বীকার করার কোনো জায়গা নেই। তাই তো পেট চালাতে কবিকেও অনেক সময় বিজ্ঞাপনী লেখা লিখতে হয়। আবার কলেজ শিক্ষার্থীদের নিজের পড়াশোনা ও আনুষঙ্গিক খরচ চালাতে খণ্ডকালীন চাকরি কিংবা প্রাইভেট পড়াতে হয়। অনেকে আবার উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ নেয়ার পথেও হাঁটেন।
কিন্তু ভাবলেই তো আর ঋণ পাওয়া যায় না। তার জন্য সোনা অথবা জমি-বাড়ি অথবা দামি কোনো জিনিষ গচ্ছিত রাখতে হয়। এরপর ধীরে ধীরে শোধ করতে হয় ঋণের অর্থ। তবে এবার ঋণ পেতে হলে আর এসব কিছু জমা রাখার প্রয়োজন হবে না। শিক্ষার্থীদের ঋণ দিতে অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছে চীনের বিভিন্ন কোম্পানি। তবে সেই ফাঁদে একবার পা দিলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
যে শিক্ষার্থীরা টিউশন, বইপত্র কেনা কিংবা উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ নিতে চান, তাদের ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করেছে একাধিক চীনা কোম্পানি। ঋণের অর্থ তখনই হাতে পাওয়া যাবে, যখন তারা নগ্ন অবস্থায় সেলফি তুলে স্বেচ্ছায় তা গচ্ছিত রাখবে সেই কোম্পানির কাছে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন।
ভাইস অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, চীনা ই-কমার্স সংস্থাগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ন্যাকেড লোন সার্ভিস দেয়া শুরু করেছে। ঋণ শোধ হয়ে গেলে সেসব ছবি শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
আপাত দৃষ্টিতে অনেক শিক্ষার্থীর কাছে বিষয়টি খুব একটা সমস্যার নয়। কিন্তু অনেক সময় শিক্ষার্থীদের বিপদের কারণ হয়েও দাঁড়াচ্ছে এই ঋণ। কারণ কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সময় এসব নগ্ন ছবি পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের কাছে ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দিয়ে চড়া হারে সুদ দাবি করে।
২০১৬ সালে ১৬১ জন নারীর মোট ১০ জিবি নগ্ন ছবি জমা পড়েছিল চীনা কোম্পানিগুলোতে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স ১৯ থেকে ২৩-এর মধ্যে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণের টাকা শোধ করতে না পারায় সকলের ছবি অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, দেহব্যবসা করে তাদের ঋণ মেটানোর প্রস্তাবও দিয়েছিল কোম্পানিগুলো।