বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িটি লম্বায় ১০০ ফুট। বিলাসবহুল গাড়িটিতে যে কারও চড়ে দেখতে ইচ্ছা করবে। হলিউড চলচ্চিত্রে ব্যবহারের জন্য গাড়িটি তৈরি করেন ক্যালিফোর্নিয়ার ‘কাস্টম কার গুরু’ হিসেবে পরিচিত জয় অহরবার্গ। লিমোজিন মডেলের গাড়িটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পেয়েছে।
গাড়িটির মধ্যে রয়েছে সুইমিং পুল, স্পা রুম, কিং সাইজ বেড, সান ডেক ইত্যাদি। এই গাড়িতে হেলিকপ্টার ল্যান্ড করার জন্যও রয়েছে একটি হেলিপ্যাড। গাড়িটিতে ২৬টি চাকা ও ২টি চালক কেবিন রয়েছে।
১৯৮০’র দশকে ‘আমেরিকার ড্রিম’ নামে লম্বা এ গাড়িটি নির্মাণ করা হয়। অহরবার্গের হলিউড কারশপে এটি তৈরি করা হয়। আর এজন্য ১৯৭০’র দশকে গাড়ির জগতে সেরা কাডিলাক এলদোরাদো মডেলের একটি গাড়িকে বেছে নেন অহরবার্গ।
পুরনো এ মডেলকে ঝালিয়ে ১০০ ফুট লম্বা ও ২৬টি চাকাজুড়ে বিশাল এ গাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করেন তিনি। গাড়িটি সোজা পথে চালাতে খুবই সহজ। প্রশস্ত রাস্তায়ও একে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু সরু পথে এটি পরিচালনা বা ড্রাইভিং করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। এ জন্য এর নির্মাতা গাড়িটির পেছনে একটি ব্যাকসিট ড্রাইভার সংযুক্ত করেন। আমেরিকা ড্রিমকে এজন্য শুধু হলিউড চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজেই ব্যবহার করা হতো। এত বিশাল সাইজের গাড়িটি সড়কে চলাচলের অনুমতি পায়নি।
২০১৪ সালে নিউইয়র্ক অটোসিয়াম অটোমোটিভ টিচিং জাদুঘর আমেরিকান ড্রিম লিমোজিনকে সংরক্ষণের ঘোষণা দেয়। গাড়ি প্রযুক্তি নিয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়ক হিসেবে এটি ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়। বর্তমানে গাড়িটিকে উপযুক্ত শিক্ষা উপকরণ হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে